আমাদের ভারত, ২৩ জুন: ইরান- ইসরায়েলের যুদ্ধ দিন প্রতিদিন তীব্রতা বাড়ছে। এই যুদ্ধ ঘিরে সংঘাত, ধ্বংস ক্রমশ বাড়ছে। ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলার পর তেল আভিব, হাইফায় প্রায় ২৫টি মিসাইল হামলা চালায় তেহেরান। অন্যদিকে সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, তারা ছয়টি ইরানি সামরিক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে। তাতে ১৫টি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে। প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ধংসযজ্ঞের ভিডিও।
ইসরায়েল সেনা জানিয়েছে, তারা ইরানি সেনার F-14, F-5, H-1 বিমান ধ্বংস করেছে। এই বিমানগুলিকেই যুদ্ধে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতো ইরানের তরফে। তার আগেই সেগুলি ধ্বংস করা হলো।
ইসরায়েল সেনার আরো দাবি, তাদের হামলায় এই সামরিক বিমানবন্দরগুলির রানওয়ে এবং ভূ- গর্ভস্থ অ্যাপার্টমেন্টগুলির ক্ষতি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইরানের সেনাঘাঁটি গুলিতে ইসরায়েলের হামলার ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা প্রকাশ্যে এনেছে খোদ আইডিএফ।
ইরান পারমানবিক বোমা তৈরি করেছে, বহুবার মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে সেই তথ্য উঠে এসেছে। যদিও তা এখনও প্রমাণ হয়নি। এরই মধ্যে ইরান- ইসরায়েলের যুদ্ধ। অন্যদিকে আমেরিকা হামলা চালিয়েছে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, দশকের পর দশক ধরে ইরানে মোল্লাতন্ত্র কায়েম রয়েছে। নেতৃত্বে রয়েছে খামেনেই। ক্রমশ জ্বালানি তেলের ভান্ডার বিপদজনক হয়ে উঠেছে ইরান, ইজরায়েল, আমেরিকা সহ পশ্চিম বিশ্বের একাধিক দেশের জন্য। মরু দেশে শক্তিধর এই দেশটির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর অর্থ, মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানো। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, ঠিক সেই কারণেই ইরানের ওপর হামলা করে আঘাত আনতে চাইছে পেন্টাগন। সেক্ষেত্রে গণতন্ত্র কিংবা রাজতন্ত্রের দিকে ইরানকে ঠেলে দেওয়া তাদের উদ্দেশ্য, যদিও ওয়াশিংটন সেই দাবি প্রকাশ্যে মানেনি।