আমাদের ভারত, ৬ অক্টোবর: দিল্লি দাঙ্গার পেছনে রয়েছে ইসলামিক স্টেট। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে এই মারাত্মক তথ্য। কয়েকদিন আগে রাজধানী থেকে যে তিন আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দিল্লিতে হিংসা ছাড়ানোর ঘটনায় এদের হাত ছিল বলে জানাগেছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই আইএস জঙ্গিদের মধ্যে এই মুহূর্তে পুলিশের কাছে সবচেয়ে বেশি সন্দেহজনক ধৃত আরশাদ। একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের সিএএ, এনআরসির বিরুদ্ধে উত্তাল হয়েছিল রাজধানীর একাধিক রাস্তা। আরশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সময় প্রতিবাদ চলাকালীন উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়েছিল সে। দিল্লির শাহিনবাগে হওয়া বিক্ষোভের মাথাও ছিল আরশাদ।
এছাড়াও জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ’র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা জঙ্গি শাহনাওয়াজকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুনে পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়েছিল শাহনাওয়াজ। সোমবার দিল্লি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল আইএস জঙ্গি শাহনাওয়াজ।রাজধানীর জইতপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
লক্ষ্মৌ ও মুরাদাবাদ থেকে পাকড়াও করা হয় মহম্মদ রিজওয়ান আশরাফ, মহম্মদ আরশাদ ওয়ারসিকে। ঐদিন দেশের ৬০টি জায়গায় ব্যাপক তল্লাশি চালায় এনআইএ।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, দেশজুড়ে একাধিক বিস্ফোরণ ও নাশকতায় জড়িত রয়েছে ধৃতরা। বোমা বানানোয় দক্ষ এরা। ধৃত জঙ্গিদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও তাক লাগানোর মতো। ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের বাসিন্দা শাহনাবাজ মাইন ইঞ্জিনিয়ার। বিস্ফোরণ ঘটানোর সমস্ত দিক তার জানা। রাজ্যের বাসিন্দা মহম্মদ আরশাদ আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক ডিগ্রি পেয়েছে। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় গবেষণারত। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা মহম্মদ রেজওয়ান আশরাফ, কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক। এরা সকলেই পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রিত হতো বলে জানাগেছে।

