“মুখ্যমন্ত্রী কি রাজ্যের জমিদার?” সিএএ ইস্যুতে মমতাকে তোপ সুকান্ত’র

আমাদের ভারত, ৯ নভেম্বর: মুখ্যমন্ত্রীর অধিকার নেই। উনি আইন জানেন না। ভারতের সংবিধানের অধিকার কি একটু জানতে হবে তো ওনাকে। নাগরিকত্ব দেওয়া রাজ্যের অধিকারের মধ্যে পড়ে না। নাগরিকত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে বলছেন, করতে দেব না? উনি কি জমিদার নাকি রাজ্যের? মতুয়াদের সিএএর মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিতর্কে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে তিনি বলেছেন, আপনারা এখানকার নাগরিক। পুরোপুরি নাগরিক। আপনাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে দেব না। আমি জীবন দিতে তৈরি। নাগরিকত্ব কাড়তে দেব না। আর এরই পাল্টা দিয়েছেন, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যের জমিদার নন। কোনোভাবেই নাগরিকত্ব দেওয়া বা না দেওয়ার এক্তিয়ার তার নেই। তিনি এই প্রক্রিয়া নিয়ে বলতে পারেন না। নাগরিকত্ব দেওয়া কেন্দ্র সরকারের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। আর মুখ্যমন্ত্রীর সেই অধিকার নেই। বিজেপি রাজ্য সভাপতি, কটাক্ষের সুরে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দ্যেশ্যে বলেছেন উনি আইন জানে না।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবারও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। বিশেষ করে গুজরাট বিধানসভা ভোটের আগে গুজরাটের দুটি জেলায় পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু ও শিখদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর তারপর থেকেই সিএএ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। যদিও গুজরাটের এই নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি ১৯৫৫ সালের আইন অনুযায়ী হবে।

কিন্তু এই পদক্ষেপ করার পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “এটা তো সিএএ-র পার্ট। এভাবেই এই আইন প্রণয়ন করা শুরু হয়ে গেল। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য। এখানেও লাগু হবে আইন। কারণ সিএএ সংসদের দুটি কক্ষে পাস হয়েছে।

অন্যদিকে মোদী সরকারের মন্ত্রীসভার অন্যতম মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর যিনি মতুয়া সমাজেরও প্রতিনিধি, তিনি বলেছেন, “আমি মতুয়াদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সেটি যদি সম্পূর্ণভাবে গুজরাটে শুরু হয়, আমি মনে করছি তাহলে প্রথম ধাপ শুরু হল।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *