আমাদের ভারত, ৫ ডিসেম্বর: চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের মামলা পিছিয়ে গেছে এক মাস। ফলে এখুনি জেল থেকে তিনি বেরতে পারবেন না। এদিকে বাংলাদেশজুড়ে উত্তাল পরিস্থিতিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বার্তা পাঠাচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মহম্মদ ইউনুস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে পাক রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বৈঠক করা নিয়ে বড়সড় জল্পনা তৈরি হয়েছে। শোনা যাচ্ছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বদলে যেতে পারে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
তাহলে কি রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ? এটাই এখন বাংলাদেশের অন্যতম চর্চার বিষয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসকে রাষ্ট্রপতি পদে বসানো হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার চেয়ার থেকে সরিয়ে সেখানে বসতে পারেন খালেদা জিয়া। ফলে এই বিষয়ে খুব সতর্কভাবে এগোতে চাইছে অন্তর্ভুক্তি সরকারের উপদেষ্টারা।
সম্প্রতি পাকিস্তান ও চিনের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশের আগামী দিনে রাজনৈতিক ছবি পরিবর্তনের বিষয়টিকে উস্কে দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লিগের মহম্মদ শাহাবুদ্দিন, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকের উজ্জমান এক সময় হাসিনা ঘনিষ্ঠ ও তার নিকট আত্মীয় বলে জানা যায়। ফলে এই পট পরিবর্তনের জল্পনা আরও উজ্জ্বল হচ্ছে। একাধিক বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মতের মিল হচ্ছে না উপদেষ্টাদের।
সূত্র বলছে, পরিস্থিতি বদলের মধ্যে দিয়ে বর্তমান অবস্থা যে কোনো দিকে ঘুরে যেতে পারে, আর এই পরিস্থিতিতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অন্তর্ভুক্তি সরকারের প্রধানদের কপালে।