তৃণমূলের আভ্যন্তরীন স্বাস্থ্য ভালো নেই, শাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নিয়ে কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদারের

আমাদের ভারত, ১৩ ডিসেম্বর: তৃণমূল কংগ্রেসের ভেতরের স্বাস্থ্য ভালো নেই। কয়েক বছর পর তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই আর থাকবে না। রাজ্যের শাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ইস্যুতে এমনটাই মন্তব্য সুকান্ত মজুমদারের।

তিনি বলেন, দলের ইন্টার্নাল স্বাস্থ্য অত্যন্ত খারাপ। এই লড়াই ভাগ বাটোয়ারার লড়াই, ফলে লড়াই খুব সহজে থামবে না, খুনোখুনি পর্যন্ত পৌঁছাবে। অনেক জায়গায় সেটা পৌঁছেছেও। আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই আর থাকবে না। অপেক্ষা করুন, কয়েক বছর পর তৃণমূল কংগ্রেস বলে কিছু থাকবে না।

তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের তরফে একাধিক বিষয়ে মামলা চলছে। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, রাজ্যের নয়, তৃণমূলের স্বার্থে এই মামলা হচ্ছে। তাঁর দাবি, মামলা লড়া হচ্ছে জনগণের টাকায়। সাম্প্রতিক তৃণমূল দাবি করেছে, উপচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল, পড়ুয়াদের টাকায় মামলা লড়ছে।

সেই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, পড়ুয়ারা যে টাকা দেয়, সেই টাকায় উপাচার্য বা রেজিস্টার মামলা লড়েন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মামলা লড়ছেন সেটি কি তার পৈত্রিক টাকা? নাকি জনগণের টাকা?”

এক্ষেত্রে তাকে প্রশ্ন করা হয়, রাজ্যবাসীর টাকায় রাজ্য সরকারের মামলা লড়া যদি ঠিক না হয়, তাহলে উপাচার্য বা পড়ুয়াদের টাকায় কিভাবে মামলা লড়েন? এর উত্তরে সুকান্ত বলেন, জনগণের টাকায় রাজ্য সরকার মামলা লড়বে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সব বিষয়ে কেন মামলা করবেন? বিরোধী দলকে সভা করতে দেব না, তার জন্য কেন মামলা হবে? যদি মামলা হয়, তাহলে রাজ্যের স্বার্থের জন্য মামলা হোক। তৃণমূলের স্বার্থের জন্য মামলা তো জনগণের টাকায় করা উচিত নয়।

এরপর তিনি রাজ্যপালকে সমর্থন করে বলেন, রাজ্যপাল নিজের কোনো পদ বাড়ানোর জন্য, বা মাইনে বাড়ানোর জন্য লড়ছেন না। অন্য কাউকে আটকানোর জন্যও লড়ছেন না, রাজ্যপাল লড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। আর বিশ্ববিদ্যালয় একটা মাস সিস্টেম। সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে, আর তো কোনো কথা হবে না। সুপ্রিম কোর্ট বলেই দিয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়, আচার্য- উপাচার্য নিয়োগ করবেন।

অন্যদিকে আগামী ২০ তারিখ মোদী ও মমতা বৈঠক সম্পর্কে সুকান্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে চেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী সময় দিয়েছেন। যে কোনো মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী সময় দেবেন, এটাই প্রোটোকল। পশ্চিমবঙ্গে এটা মানা হয় না। বিরোধী দলের সাংসদ, বিধায়করা দেখা করতে চাইলে মু্খ্যমন্ত্রী সময় দেন না। যা সংবিধান না মানার সমান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই দেখা করেন। বিজেপি নীতিগত ভাবে সম্পূর্ণ বিপরীতে অবস্থান করলেও মু্খ্যমন্ত্রী গেলে তার সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। সমস্ত কংগ্রেস মু্খ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। আসলে সংবিধানকে কিভাবে মানবে সেটা তার ব্যাপার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *