আমাদের ভারত, ২৪ জুন: রাজ্যের শিক্ষা দফতর থেকে উপযুক্ত কোনও নির্দেশ যতদিন না আসে ততদিন পর্যন্ত বিশ্বদ্যিালয়ের ওয়ার্কিং কমিটি অন্তবর্তীকালীন ফিনান্স অফিসার হিসেবে শেষ ফিনান্স অফিসারকে নিযুক্ত করুন।” এই মর্মে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জুটা) দাবি মেনে নিলেন কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ‘জুটা-র সভাপতি পার্থপ্রতিম বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় এক প্রেস-বিবৃতিতে জানান, শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে স্মারকলিপি দেন। দাবি না-মানা পর্যন্ত ধর্না-অবস্থানে বসার কথা বলেন। শেষ পর্যন্ত ‘জুটা’-র ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে ওয়ার্কিং কমিটি অন্তবর্তীকালীন ফিনান্স অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
‘জুটা’-র দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঔদাসীন্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যসহ প্রশাসনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি রয়েছে। গত ১৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ফিনান্স অফিসারের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়।
সহ-উপাচার্য এই মাসের ২ তারিখে ফিনান্স অফিসারের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষা দফতরের কাছে চিঠি দেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আজ পর্যন্ত কোনও জবাব আসেনি। ফলে ১৬ তারিখের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিনান্স অফিসারের পদটি শূন্য হয়ে যায়।
ফিনান্স অফিসারের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রশাসনিক কাজকর্ম, পঠনপাঠন ও গবেষণা গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জুটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে ধারাবাহিকভাবে দাবি করে এসেছে—বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, এই স্বশাসনের কথা মাথায় রেখে যতদিন না আমরা ওয়ার্কিং কমিটির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনার ক্ষেত্রে এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের গড়িমসি এবং সদিচ্ছার অভাব স্পষ্ট। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের মধ্যে শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের সাফল্যই প্রতিফলিত।”