আমাদের ভারত, ৩ আগস্ট: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে বিহারে বিশেষ নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনী প্রক্রিয়া চলছে। পশ্চিমবঙ্গেও তা শুরু হবে বলে শোনা যাচ্ছে। এর বিরোধিতা করে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গবাসীকে বিশেষ নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনী প্রক্রিয়া নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, আতঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই। দেশের প্রকৃত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না, বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, ২০০৩ সালের আগে থেকে যাদের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাদের নিয়ে চিন্তা নেই। ২০০৩- এর পর থেকে ভোটার তালিকায় যাদের নাম যুক্ত হয়েছে কেবল তাদের সত্যতা যাচাই হবে। ১১টি প্রমাণপত্রের মধ্যে যে কোনো একটি বৈধতা মিলতে হবে। নির্বাচন কমিশন তা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে।
অন্যদিকে ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রয়েছে সেই সব এলাকায় ভূতুড়ে ভোটারের সন্ধান দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। সুকান্ত মজুমদার থেকে শুভেন্দু অধিকারী সকলেই ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে বছরের পর বছর নির্বাচনে তৃণমূল জয়লাভ করছে বলে অভিযোগ করেছেন। উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা, যেখানে বিধায়ক রয়েছেন নির্মল মাঝি, সেখানে ভোটার তালিকায় ৩৯ জন মৃত ভোটার রয়েছে বলে দাবি বিজেপির। এ বিষয়ে সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, রাজ্যটা ভূতুড়ে ভোটারে ভরে গিয়েছে। রাজ্যের শাসক দল লোকসভা, বিধানসভার সকল নির্বাচনে ভূতুড়ে ভোটারদের ভোটেই বারংবার জেতে।
তাঁর আরো সংযোজন, বাঙালির রীতি অনুযায়ী মহালয়া দিন তর্পনের মাধ্যমে পূর্ব পুরুষদের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু এই সরকারের দৌলতে মহালয়ার পুণ্য তিথিতে নয়, বরং প্রতিবছর নির্বাচনে পূর্বপুরুষরা নিচে নেমে আসেন। শুধুমাত্র তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য।
যদিও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই সকল অভিযোগে নাক গলাতে নারাজ। এ রাজ্যে কোনভাবেই কারো ভোটার কার্ড বাতিল হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এসআইআর ইস্যুতে যে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হবে তা বলাই যায়।