কাঁকসার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভেজানো চালে ভাসছে পোকামাকড়, বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের  

জয় লাহা, দুর্গাপুর, ২ আগস্ট: আগের দিন ভিজিয়ে রাখা হয় চাল। তারপর ওই ভেজানো চালে তৈরী হয় প্রসূতি ও শিশুদের খাবারের খিচুড়ি। আর ওই ভেজানো চালে ভাসছে আরশোলা, মাকড়শা সহ পোকামাকড়। আর ওই পোকামাকড় ভেজানো চালে নিত্যদিন রান্না হয় খিচুড়ি। বিষয়টি নজরে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়ল এলাকাবাসীরা। অঙ্গনওয়াড়ির ওই শিক্ষিকাকে বহিস্কারের দাবিতে সরব গ্রামবাসীরা ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হল। মঙ্গলবার এমনই নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকসার বেলডাঙ্গার ছেতোডাঙ্গা আদিবাসী পাড়ার শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে।

ঘটনায় জানা গেছে, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রায়দিনই খিচুড়ির সঙ্গে দেওয়া তরকারি কম পড়ত বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার গ্রামের মা’য়েরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার তৈরী সরেজমিন খতিয়ে দেখতে যায়। আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ মহিলাদের। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভেতরে হাঁড়িতে রয়েছে ভেজানো চাল। আর ওই চালে আরশোলা, মাকড়শা সহ নানান পোকামাকড়ে ভর্তি। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বাসিন্দারা। গ্রামের আরও লোকজন সেখানে ছুটে আসে। শিক্ষিকার কর্মকান্ড দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। সেখানে বিক্ষোভও দেখায় মহিলারা।

স্থানীয় বাসিন্দা উর্মিলা টুডু ও প্রিয়াঙ্কা মুর্মু প্রমুখ বাসিন্দাদের অভিযোগ, “বিদ্যালয়ের চারপাশে আগাছায় ভর্তি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই এলাকার শিশুরা যায় ওই শিক্ষা কেন্দ্র।সেখানে তারা খিচুড়ি খায় নিত্যদিন। এছাড়াও এলাকার প্রসূতি মা ও গর্ভবতী মহিলারাও রোজ তাদের খাবার নিতে আসেন। যে ঘরের ভেতর রান্না হয়, সেখানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। সকালে খিচুড়ি রান্নার সময় সেখানে দেখি ভেজানো চালে পোকামাকড়ে ভর্তি। ওইসব খাবার খেয়ে শরীর অসুখ হয়ে পড়বে। তাই সুবিচার চাইছি। নিম্নমানের খাবার দেওয়া বন্ধ হোক। প্রয়োজনে ওই শিক্ষিকাকে বহিস্কার করা হোক।”

যদিও এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকিকা প্রতিমা লাহা অভিযোগ অস্বীকার করে সাফাই দেন, “কোনোরকম সহকারি নেই। আমাকে একা পড়ানোর পাশাপাশি রান্নার কাজ করতে হয়।”

যদিও গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে পোকামাকড় পড়ে থাকা চাল ফেলে নতুন করে খিচুড়ি তৈরী করে দেন ওই শিক্ষিকা। এবং মুচলেকাও দেন তিনি।

কাঁকসা ব্লক প্রশাসন জানিয়েছেন, অভিযোগ এসেছে। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণিকে শোকজ করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *