আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ৮ ডিসেম্বর: বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে আহত একটি বিরল প্রজাতির শকুনকে শেষ পর্যন্ত টানা ১৩ দিন চিকিৎসার পর অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠল রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে। যদিও এখনও তার চিকিৎসা চলছে।
উল্লেখ্য, ২৬ নভেম্বর জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান লাগোয়া লোকালয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে আহত হয় শকুনটি। কোনও ভাবেই পাখিটি নিজের ডানা মেলে উড়তে পারছিল না। স্থানীয়রা জলদাপাড়ার বনকর্মীদের খবর দিলে তারা গিয়ে আহত শকুনটিকে উদ্ধার করে রাজাভাতখাওয়ার শকুন প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। সেখানেই আহত পাখিটির চিকিৎসা শুরু হয়। বর্তমানে পশু চিকিৎসকদের কড়া নজরদারিতে রয়েছে শকুনটি।জানাগেছে, শকুনটির ডান পাখনায় বিদ্যুতের তারে লেগে বেশ খানিকটা পুড়ে গেছে। তাই পাখিটির উড়তে কষ্ট হচ্ছে।
রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রের অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত গবেষক সৌম্য চক্রবর্তী বলেন,”আপাতত শকুনটি সুস্থই রয়েছে। চিকিৎসায় ভালই সাড়া দিচ্ছে। আমরা সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দেখা যাক কবে পাখিটি নিজে ডানা মেলে পুনরায় উড়তে পারে।”
জানা গেছে, প্রতিবছর শীতের মরসুমে হিলালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুনরা সমতলে নেমে আসে। উল্লেখ্য, গতবছর রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে প্রথমবার ৬টি হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুনকে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায় সহ বনকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রকৃতির বুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনই একটা বিরল ঘটনার সাক্ষি হয়েছিল বক্সা সহ গোটা রাজ্য। এই হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুনের গায়ে লাগানো পিপিটি থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পর্যায়ে আরও ৮টি শকুনকে প্রকৃতির মাঝে ছেড়ে দেবার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।