পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উন্নয়নে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আসন্ন ‘শিল্পের সমাধান কর্মসূচি’ নিয়ে শনিবার একটি বৈঠক করেন জেলা শাসক। পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং কর্মসূচি চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধি ও উদ্যোগপতিদের সামনে তুলে ধরা হয়। শিল্পের সমাধান ক্যাম্পগুলিতে উদ্যোগপতিদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি যে কোনও অভিযোগের ক্ষেত্রে তা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে ব্লক প্রশাসন এবং পৌরসভাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।জেলা শাসকের সভাপতিত্বে এদিন ডিস্ট্রিক্ট লেভেল স্যান্ড কমিটির একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে জেলাশাসক বালি খাদানগুলিতে নিয়মিত কড়া নজদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলাশাসক জানান, অবৈধ ভাবে বালি তোলা বরদাস্ত করা হবে না। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নদীচর থেকে বালি তোলার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর থেকে ২৩০০ টিরও বেশি গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বন বিভাগ, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করা হয়েছে। তল্লাশিতে ৪০ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জেলায় অবৈধ বালি তোলা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা নিশ্চিত করতে সব রকমের বাব্যস্থা নেওয়া হয়েছে।
জেলাশাসকের দপ্তরে এদিন বন পাট্টা বিষয়ক জেলা স্তরের কমিটির সঙ্গে একটি বৈঠক করেন জেলা শাসক। বৈঠকে বন দফতরের জমির ওপর পাট্টা দেওয়ার মত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শালবনি ব্লকের ১০৮ এবং গড়বেতা-২ ব্লকের ২২ জন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে বন পাট্টা দেওয়ার ব্যাপারে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, বনাঞ্চল এলাকার যেসব বাসিন্দাদের নাম গ্রামীণ বাড়ির তালিকায় রয়েছে তাদের বনপাট্টা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।