Tabageria Bridge, Land, ট্যাবাগেড়িয়া সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক কাজ শুরু

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ ডিসেম্বর: ডেবরাবাসীর বহু প্রতিক্ষিত কাঁসাই নদীর উপর ট্যাবাগেড়িয়া সেতু বাস্তবায়ণের পথে। সরকারিভাবে জমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক কাজ শুরু হওয়ায় খুশি বাসিন্দারা। এলাকার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর জমিদাতাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের রাজি করানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। কাজ শুরু করেছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর।

পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি প্রদীপ কর বলেন, বাম আমলে কাঁসাই নদীর উপর লোয়াদা সেতু তৈরি করে ১০ বছর ফেলে রাখা হয়েছিল। আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সেই সেতু চালু হয়েছে। বালিচকে রেলগেটের উপর উড়ালপুলের কাজও মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে শেষ হওয়ার পথে। ট্যাবাগেড়িয়া সেতুও দরকার। বহু মানুষ উপকৃত হবে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সেই সেতুও তৈরি হবে বলে আমরা আশাবাদী।

প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রথমে জমি কেনা হবে। তারপর পরিকল্পনা তৈরি করে পূর্তদপ্তর সেতু তৈরির কাজ শুরু করবে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, সরকার এখন জমি চিহ্নিত করে তা কেনার কাজ শুরু করতে বলেছে। এখন সেই কাজ শুরু হয়েছে। জমির সংস্থান হয়ে গেলে অর্থাৎ জমিদাতারা জমি দেওয়ার অঙ্গিকার করলে সেই জমি কেনার টাকা বরাদ্দ হবে।

বিএলএলআরও রূপবিলাস মণ্ডল বলেন, নদীর দুই পাড়ে মকরামপুর, কমলপুর ও ট্যাবাগেড়িয়া এই তিন মৌজায় প্রায় সাড়ে ছ’একর জমি লাগবে। দু’শতাধিক জমিদাতার কাছে জমি কিনতে হবে। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৭৮জন জমিদাতা জমি দেওয়ার অঙ্গিকার করেছেন। অর্থাৎ আমরা ৭৮জনের কাছ থেকে এনওসি পেয়েছি। ৭৫জনের এনওসি আমরা জেলায় পাঠিয়ে দিয়েছি। বাকি জমি চিহ্নিত করে জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। আরও কয়েকজন এনওসি দিয়েছেন। সেগুলিও পর্যায়ক্রমে জেলাকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই কাজে জোর দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ট্যাবাগেড়িয়া সেতু ডেবরাবাসীর বহুদিনের দাবি। এনিয়ে বহু আন্দোলনও হয়েছে। অভিযোগ, বাম আমলে কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। নদীর একপাশে ভবানীপুর ও ভরতপুর পঞ্চায়েত। বর্ষার সময় নদীতে জল বাড়ায় এই দুই পঞ্চায়েত এলাকা ডেবরা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেই সময় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার করতে হয় বাসিন্দাদের। অন্য সময়ে নদীর উপর অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করা হয়। তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। ফলে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস, হাসপাতাল, দোকান, বাজার যেতে সমস্যায় পড়তে হয় কয়েক হাজার বাসিন্দাকে। তাঁরা এখন সেতুর আশায় দিন গুনছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *