পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২২ জুলাই: সাত সকালে এক ফেন্সিডিল কারবারীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য গঙ্গারামপুরে। পাথর দিয়ে থেঁতলেই তাকে খুন করা হয়েছে, অনুমান পুলিশের। যদিও পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবার ও এলাকাবাসীদের। বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তি নাম মানিক সাহা (৪৮)। পেশায় গাড়ি ব্যবসায়ী হলেও, তার গোপনে ফেন্সিডিলের বড়সড় কারবার ছিল। তার বিরুদ্ধে জেলা ও জেলার বাইরের একাধিক থানায় নিষিদ্ধ কাফ সিরাফ পাচারের বেশকিছু মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। যার বাড়ি গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোদং পাড়া এলাকায়। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে ওই ব্যবসায়ীর একটি স্কুটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি, রাতে বাড়ি ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা তাড়া করে তাকে। তখনই স্কুটি ফেলে রেখে প্রাণ বাঁচাতে পালাতে গিয়ে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় তাকে পাথর চাপা দিয়ে খুন করেছে দুষ্কৃতিরা। তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থলের পাশে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাও খুলে নিয়ে গিয়েছে। এদিন সকালে এমন ঘটনা নজরে আসতেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। তবে খুনের প্রকৃত কারণ কি? চোরা কারবারী না অন্যকিছু, যা নিয়ে জোর তদন্তে নেমেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।
মৃতের বাবা সূর্য্য সাহা বলেন, ছেলের খুনের ঘটনার পিছনে যারাই যুক্ত থাকুক পুলিশ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক।
এলাকাবাসী প্রশান্ত সরকার ও বৈদ্যনাথ রায়রা বলেন, নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। ভয়াবহতা দেখে তারা আঁতকে উঠেছেন। পুলিশ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক।

