আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ২৯ আগস্ট: আজও প্রাপ্য রেশন থেকে বঞ্চিত আদিবাসীরা। বেশ কয়েকটি গ্রামে ঘুরে এমনই ছবি তুলে এনেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
বীরভূমের ভাঁড়কাটা গ্রামপঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে অনেকেই রেশন পাচ্ছে না বলে অভিযোগ। কারোর রেশন কার্ড হয়নি তো কেউ আবার ভিন রাজ্য থেকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস শুরু করেছেন। তাদের রেশন কার্ড তৈরি হয়নি। ফলে রেশন থেকে বঞ্চিত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা। বঞ্চিত আদিবাসীরা এলাকার বিধায়ক কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্ত হন। তিনি জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেন। এরই মাঝে ওই গ্রামগুলিতে সমীক্ষা শুরু করে ভোরাই নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওই সংস্থা প্রাথমিক ভাবে ভাঁড়কাটা গ্রামপঞ্চায়েতের পলাশবুনি, জেঠিয়া, ঢোলকাটা গ্রামে সমীক্ষা চালায়। তিন দিনের সমীক্ষায় প্রায় ৪৫০ মানুষের নাম উঠে এসেছে যারা এখনও রেশন কার্ড পাননি। ফলে বঞ্চিত রেশন সামগ্রী থেকেও।

জেঠিয়া গ্রামের ৫১ বছর বয়সি সুরজমুনি মুরমু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমার রেশন কার্ড নেই। তাই রেশনের কোনো সামগ্রী পাই না”।
স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য গুপিন মার্ডি বলেন, “বেশ কিছু মানুষ রেশন সামগ্রী থেকে বঞ্চিত। বিষয়টি আমরা বিধায়ককে জানিয়েছিলাম। এরপরেই সিউড়ি মহকুমা শাসক এলাকায় এসে অভিযোগ শুনে যান”। আশিসবাবু বলেন, “ওই এলাকার মানুষের অভিযোগ পেয়ে তৎক্ষনাত জেলা শাসককে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছিলাম। যারা এতদিন থেকে বঞ্চিত তারা দ্রুত রেশন পেয়ে যাবেন”।

ভোরাই এর সদস্যা বাবলী হাঁসদা বলেন, “মহকুমা শাসকের নির্দেশে আমরা সমীক্ষা শুরু করেছি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৪৫০ জন আদিবাসী মানুষ রেশন সামগ্রী থেকে বঞ্চিত”।

