কেন্দ্র ও রাজ্যের পাল্লা দিয়ে একাধিক প্রকল্পের প্রতিযোগিতা চললেও হাঁসখালিতে আদিবাসী পরিবার এখনও বঞ্চিত

স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ৩১ অক্টোবর: নদিয়ার হাঁসখালির গাজনা পঞ্চায়েতের সর্দ্দার পাড়ার বাসিন্দা উত্তম মল্লিক বয়স ৩৫। বছর ২০ আগে পথ দুর্ঘটনায় তার হাত ভেঙ্গে যায়। পয়সার অভাবে অপারেশন না করতে পারার কারণে শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে যায়। স্ত্রী সুরভী মল্লিক, পুত্র অমিত মল্লিক ও কন্যাসন্তান পূজা মল্লিককে নিয়ে চার সদস্যের ছোট্ট পরিবার। এই গ্রামটি ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হওয়া সত্ত্বেও উত্তম মল্লিক হার মেনে নেয়নি। শারীরিকভাবে অক্ষম হওয়া সত্ত্বেও বেছে নেয়নি ভিক্ষাবৃত্তির পথ। নিজের মনের জোরে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে বেছে নিয়েছেন ভ্যান চালানোর পেশাকে।

সংসারে একমাত্র তিনিই রোজগেরে ব্যক্তি। যার ফলে সংসার চালাতে ও পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে বেছে নিয়েছেন এই পথ। তবে ভারি জিনিস পত্র ভ্যানরিস্কায় তুলতে পারেন না বলে অনেকে কাজে নিতেও চায় না। আবার অনেকে সহানুভূতি দেখিয়ে কাজে ডাকেন।পেট তো মানে না তাই চোয়াল শক্ত করে দাঁতে দাঁত চেপে রিক্সা চালানোর কাজে নেমে পড়েছেন। আদিবাসী পরিবারে নেই জলের ব্যাবস্থা, নেই বিদ্যুৎ এমনকি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরও। অথচ যাদের পাকা বাড়ি অবস্থা পূর্ণ তাদের ঘর পেতে কোনও অসুবিধা হয় না। অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি সরকার ও কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মেলেনি কোনও সরকারি সাহায্য। দুয়ারের সরকারি ক্যাম্পে একাধিকবার ফর্ম ফিলাপ করার পরেও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সংশাপত্র তার হাতে পৌঁছায়নি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরও জোটেনি তার কপালে। এমত অবস্থায় অত্যন্ত দারিদ্রতার সাথে সংগ্রাম করে কাটছে এই পরিবারটির সংসার।

এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াক সরকার। অন্যথায় দুয়ারে সরকার প্রকল্প প্রশ্নের মুখে পড়বে। আমরাও চাই এই সরকার অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *