আমাদের ভারত, ৩০ অক্টোবর: বাংলাদেশে মৌলবাদকে আরো একধাপ এগিয়ে দিতে ধর্মীয় নেতা জাকির নায়েক’কে অভ্যর্থনা জানাতে চলেছে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। আগামী ২৮ নভেম্বর সে দেশে যাচ্ছেন ধর্মীয় নেতা। এই সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর হয়েছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ঢাকায় পৌঁছানো মাত্র জাকির নায়েককে আটক করে ভারতের হাতে তুলে দেবে বাংলাদেশ। ঢাকার কাছে এটাই আশা করে নয়া দিল্লি।
গত বছর পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জাকির নায়েক। সেখানে তার জন্য পাতা হয়েছিল লাল গালিচা। সন্ত্রাসবাদকে মদত জোগাতে পাকিস্তানের নানা প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ধর্মীয় সভা করেছিল সে। লস্কর জঙ্গি মোজাম্মেল ইকবাল হাশমি সহ একাধিক আন্তর্জাতিক জঙ্গির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেছিলেন এই ধর্মগুরু। তারপর থেকে বহু কিছু ঘটেছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কোনো সময় ভালো ছিল না। যদিও তা পুরোপুরি বন্ধ হয় পেহেলগাঁও হামলার পর। এবার জাকিরের বাংলাদেশ সফর নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফরের কথা জাকিরের। ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে জাকিরের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাসিনা সরকার। বাংলাদেশে একটি বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলাকারীরা জাকির দ্বারা অনুপ্রাণিত জানার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হাসিনা।
কিন্তু হাসিনার বিদায়ের পর পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। আই এস আই- এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামি সেনা গঠনের পাশাপাশি শীর্ষ সেনা আধিকারিকদের আনাগোনা ব্যাপক বেড়েছে বাংলাদেশে, যা মোটেই ভালো চোখে দেখছে না ভারত।
এর মাঝে জাকিরের সফর বাংলাদেশের মৌলবাদকে আরো বেশি করে উস্কে দেওয়ার পরিকল্পনা বলেই মনে করছে কুটনৈতিক মহল। তার সফরের পেছনে পাকিস্তানের ইন্ধনও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিভাবে মৌলবাদকে অস্ত্র করে ভারতের উত্তর পূর্বে অস্থিরতা ছাড়ানো যায়, সেই কারণেই এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক জাকিরকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বললেও বাংলাদেশ যে মানবে না তা বলাই বাহুল্য।

