আমাদের ভারত,২৯ ডিসেম্বর:কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের বিরোধিতা করা নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে হালে পানি পায়নি পাকিস্তান। এমনকি রাষ্ট্রপুঞ্জেও পাত্তা পায়নি তাদের প্রতিবাদ। এবার সরাসরি সেই কথা পাক-প্রধানমন্ত্রীর স্বীকার করলেন। বললেন আমেরিকায় পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ভারতের লবি। আর তার প্রভাব পড়েছে ওয়াশিংটন- ইসলামাবাদ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও। কিন্তু এই মন্তব্য করার পর আবারও আমেরিকার এক অনুষ্ঠানে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া এবং উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সরব হন ইমরান খান।
উত্তর আমেরিকায় পাক বংশোদ্ভূত চিকিৎসকদের সংগঠন ফিজিশিয়ানস অফ পাকিস্তানি ডিসেন্ট অফ নর্থ আমেরিকার আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই অনুষ্ঠানেও ভারত-পাক সম্পর্কের কথা টেনে আনেন ইমরান। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমেরিকায় পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের লবি বেশি শক্তিশালী। আর সেই জন্যই নয়াদিল্লির অবস্থানের কাছে সবসময় ইসলামাবাদের মত চাপা পড়ে যায়। তার প্রভাব পড়ে আমেরিকার পাকিস্তান নীতির ওপরেও।
৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকেই ভারত-পাক সম্পর্কের উত্তেজনা বেড়েছে। ইমরানের দেশ বারবার সরব হয়েছে দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে ভারত একা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই অভিযোগ তুলে।আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের পক্ষে জনমত তৈরীর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ইসলামাবাদ। কিন্তু তবুও এখনও আন্তর্জাতিক যেকোনো মঞ্চে গেলেই নিজের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেন ইমরান।
অন্যদিকে ভারতে ইতিমধ্যে পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তা নিয়ে দেশের ভিতরে বিক্ষোভ চলছে। ইমরান সেই প্রসঙ্গও টেনে বলেন, আভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালাতে পারে ভারত। তার বক্তব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই নয়া নাগরিকত্ব আইন পাশের জন্য ভারতের সমালোচনা করেছে। কিন্তু মজার কথা এটাই, পাকিস্তানের এই অরণ্যে রোদন শোনার জন্য শুধুমাত্র চীন ছাড়া কেউ নেই। কারণ সন্ত্রাসের প্রশ্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাট্টা প্রায় গোটা বিশ্ব।