আমাদের ভারত, ২৯ সেপ্টেম্বর: ভারতীয় দলের এশিয়া কাপ জয়কে কেন্দ্র করে আবারো কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে সরব হলো বিজেপি। পাকিস্তানকে হারিয়ে কাপ ঘরে তুলেছে টিম ইন্ডিয়া, কিন্তু তারপরেও কংগ্রেসের তরফের শুভেচ্ছা জানানো হয়নি বলে তার তীব্র সমালোচনা করেছে পদ্ম শিবির। রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেসকে পাকিস্তানের বি-টিম বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।
সোমবার বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র প্রদীপ ভান্ডারী কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, রাহুল গান্ধী নাকি পাকিস্তানি সেনাপ্রধান আসিম মনিরের সেরা বন্ধু।তাই ভারতের জয়ও কংগ্রেসের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে।
তাঁর অভিযোগ, একদিকে পাকিস্তানকে মাঠে হারালেও রাহুল গান্ধী এখনো ভারতীয় দলকে অভিনন্দন জানাননি। অন্যদিকে যখন পাকিস্তান কোণঠাসা তখন কংগ্রেসের নেতারা খেলোয়াড় সুলভ আচরণের কথা বলছেন। কেন কংগ্রেস বারবার পাকিস্তানের পক্ষ নেয়? তিনি আরো দাবি করেন, অপারেশন সিঁদুরে কংগ্রেস পাকিস্তানের পাশে ছিল। এবারেও তাই। কংগ্রেস পাকিস্তানের বি- টিম।
বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের দুর্দান্ত জয়ের পরেও কংগ্রেসের একটিও টুইট নেই। যেন ওরা পাকিস্তানের কাছ থেকে অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। রাহুল গান্ধী ও তার দল পাকিস্তানের সঙ্গে এক সারিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফাইনালে পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে নয় বারের জন্য এশিয়া কাপ জেতে ভারত। পাকিস্তান মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। ক্রিকেটারদের উস্কানিমূলক অঙ্গভঙ্গিতে সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের হারিস রাউফ ভারতীয় সমর্থকদের দিকে প্লে ডাউন ভঙ্গি করেছিলেন, যা অপারেশন সিঁদুরকে ঘিরে পাকিস্তানের ভুয়ো প্রচারের ইঙ্গিত। পরে তার উইকেট নেওয়ার পর বুমরাও তাকে একই ভঙ্গিতে জবাব দেয়।
ফাইনালে জয়ের পরেও বিতর্ক তৈরি হয়। ভারতীয় দল এশিয়া কাপের ট্রফি নিতে অস্বীকার করেন। কারণ ট্রফি দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের মন্ত্রী মহাসিন নকভি। ক্ষুব্ধ নাকভি ট্রফি ও মেডেল নিয়ে স্টেডিয়াম ছাড়েন।
এই নিয়ে সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। এক কংগ্রেস নেতা বলেন, সবই সাজানো নাটক। খেলতে কোনো সমস্যা হয়নি, কিন্তু ট্রফি নিতে আপত্তি কোথায়? আসলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।

