India, Strike, শত্রুর ঘরে ঢুকে হামলা সহ আকাশ- জল- স্থলে পারমাণবিক জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত, তৈরি ত্রিস্তরীয় সুরক্ষা বলয়

আমাদের ভারত, ৭ জুলাই: আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যা যা আছে, তাতে চিন, পাকিস্তানকে চোখে চোখ রেখে জবাব দিতে পারবে তো সেনা? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর অবশ্যই হ্যাঁ। আকাশ সুরক্ষার জন্য থ্রি লেয়ার প্রোটেকশন মেকানিজম তৈরি করেছে ভারত। এই ত্রিস্তরীয় সুরক্ষা বলয় তৈরি করে ফেলায় আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া মতো ভারত তাদের দলভুক্ত হয়ে গেছে।

ব্রহ্মোস মিসাইলের উন্নত ভার্সনের পাশাপাশি সমর টু এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম- এর সঙ্গে বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ টু- এর মিসাইল অস্ত্র, মানে ব্রহ্মস সমর অস্ত্রের সুরক্ষা বলয়। তিনটের সবকটাই যে কোনো অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমানের মোকাবিলা করতে পারবে। ব্রহ্মোস দুনিয়ার যে কোনো যুদ্ধবিমানকে টার্গেট করে ধ্বংস করতে পারে। আর অস্ত্র মিসাইল আকাশে খুব দ্রুত শত্রুকে চিহ্নিত করতে ওস্তাদ।

সূত্রের খবর, অস্ত্র এমকে থ্রির দুটো ভেরিয়েন্ট তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। এটা শত্রুর ঘরে ঢুকে হামলা করবে। অন্যটা হামলার পাশাপাশি শত্রুর আক্রমণও প্রতিহত করবে।

জানা যাচ্ছে, অপারেশন সিঁদুরে মার খাওয়ার পর পাকিস্তান অস্ত্র সম্ভার বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তাই চারদিকে নজর রেখে এই নিরাপত্তার ব্যবস্থা তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। রাশিয়া ও আমেরিকা এই ধরনের ত্রিস্তরীয় সুরক্ষা বলয় ব্যবহার করে। ভারতও এবার এদেরই মধ্যে একজন হতে চলেছে। প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীরা বলছেন, অস্ত্র ব্রহ্মোস ওই সমরের ইন্টিগ্রেশন করে তৈরি হবে নতুন আকাশ প্রতিরক্ষা বলয়। এই পর্বই সবচেয়ে কঠিন। তবে তিনটিই ভারতে তৈরি, এদের খুঁটিনাটি প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীরা খুব ভালো করেই জানেন। তাই ইন্টিগ্রেশনে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

পাশাপাশি আইএনএস অরিঘাত থেকে পরমাণু অস্ত্রবাহী ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষাও সেরে ফেলেছে ভারত। ৩৫০০ কিলোমিটার পাল্লার কে ফোর মিসাইল জলে, স্থলে, আকাশে টার্গেটকে ধ্বংস করতে পারে। কে ফোর মিসাইলের পরীক্ষা সফল হওয়ার মানে সেকেন্ড ট্রাইকিং ক্যাপাবিলিটি হাতে আসা।

এর অর্থ কোনো শত্রু দেশ পরমাণু অস্ত্র নিয়ে আমাদের জল, আকাশ, কিংবা স্থলে হামলা করলে সেই হামলার ধাক্কা সামলে পাল্টা পরমাণু হামলা চালাতে পারবে ভারত। আমেরিকা‌, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, ব্রিটেন ছাড়া আর কোনো দেশের হাতে সেই ক্ষমতা বা প্রযুক্তি ছিল না। এবার সেই তালিকায় ষষ্ঠ দেশ হিসেবে ঢুকলো ভারত। চীন যদি ভারতের কোনো এলাকায় হামলার চেষ্টা করে এবং তাতে সীমাবদ্ধ সফলতা অর্জন করে তাহলেও আমাদের সামনে বিকল্প থাকবে।

একইসঙ্গে ভারতীয় সেনা চীনের নিউক্লিয়ার অ্যাসেটের উপর হামলা চালাতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *