আমাদের ভারত, ১৭ জুন: ভারতে এক বিরাট তৈলখনি আবিষ্কারের খুব কাছে পৌঁছে গেছে। যার ফলে আমূল বদলে যেতে পারে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা। এমন একটি খাজানার খোঁজ পেয়েছে ওএনজিসি ও অয়েল ইন্ডিয়া বলে একটি জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।
ভারত তেলের জন্য ইরান, ইসরাইল, রাশিয়া, আরব, আমির শাহীর মত একাধিক দেশের উপর নির্ভরশীল। ভারতে ৮৫ শতাংশ তেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথা যদি মিলে যায়, তাহলে তেলের জন্য আর অন্য কোনো দেশের উপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না ভারতকে।
ভারতের আন্দামানে তেলের ভান্ডার আবিস্কারের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। তিনি বলেন, আন্দামান সাগরে তেলের ভান্ডারের খোঁজ পাওয়া গেছে।
ভারতে বর্তমানে অসম, গুজরাট, রাজস্থান, মুম্বাই ও কৃষ্ণা- গোদাবরী অঞ্চলে তেলের খনির খোঁজ মিলেছে। এছাড়া বিশাখাপত্তনম, ম্যাঙ্গালোরেও তেলের রিজার্ভ রয়েছে। ওড়িশা, রাজস্থানে সম্প্রতি তেলের ভান্ডারের খোঁজ পাওয়া গেছে। এবার আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জেও তেলের খোঁজ চালাচ্ছে ওএনজিসি ওয়েল ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যেই সমীক্ষা ও ড্রিলিং চলছে সেখানে।
যদি গুয়ানার মতো আন্দামানেও তেলের খনির খোঁজ পাওয়া যায়, তবে দেশের অর্থনীতি বদলে যেতে পারে। জানা যাচ্ছে, আন্দামান সাগরে ১৮৪৪৪০ কোটি লিটার তেল মজুদ থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, আন্দামানে তেলের খনির খোঁজ মিললে দেশের অর্থনীতি ৩.৭ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি হয়ে যাবে।
দা নিউ ইন্ডিয়ান- এর সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ২০০২ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে দেশে খরচের ভয়ে তৈল ভান্ডার খোঁজার কোনো কাজ হয়নি। তারপর আমরা নীতিতে পরিবর্তন আনি। পুরি জানান, ২০২৪ অর্থবর্ষে ওএনজিসি মোট ৫৪১টি কুঁয়ো খুঁড়েছে যা গত ৩৪ বছরে সর্বোচ্চ।