আমাদের ভারত, ১৯ মার্চ: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমের দেশগুলো প্রথম থেকেই সরব। তবে ভারত সেক্ষেত্রে নিজের নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে চলেছে। একদিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দান থেকে বিরত থেকেছে ভারত। অন্যদিকে বারবারই রাশিয়া-ইউক্রেনকে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ভারত। এই যুদ্ধের বিরোধিতা করে আমেরিকা রাশিয়ার উপরে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। কিন্তু ওয়াশিংটনের এই নিষেধাজ্ঞায় পাত্তা না দিয়ে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল কেনার সুযোগ কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে চায়নি।
ভারতের ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড রাশিয়ার একটি অয়েল কোম্পানির সঙ্গে তেল আমদানির চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী ভারত ৩ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে চলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চোখ রাঙানিকে তোয়াক্কা করছে না ভারত। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, ভারতের শক্তি লেনদেনের রাজনীতিকরণ করা উচিত নয়, শক্তি চাহিদাগুলো মেটানোর দিকে নজর রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
কিন্তু ভারতের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিপরীত প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে আমেরিকার তরফেও। আমেরিকা জানিয়েছে, ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করার সিদ্ধান্ত তাদের জারি করা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে। তারা জানিয়েছে, ভারতের এই পদক্ষেপ থেকে মনে করা হবে যে ভারত ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সমর্থন জানাচ্ছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দায় সরব হয় আমেরিকা সহ পশ্চিমের দেশগুলো। রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারপরই ভারত সহ অন্যান্য বড় আমদানিকারক দেশগুলিকে রাশিয়া বিশাল ছাড়ে তেল এবং অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী দেওয়ার কথা জানিয়েছে। আর সেই সুযোগ কোনও ভাবেই হাত ছাড়া করতে রাজি নয় ভারত। যদিও পরিবহনের খরচ বেশি হওয়ার দরুন রাশিয়া থেকে খুব সামান্য পরিমাণে তেল আমদানি করে ভারত। ফলে এই বিপুল ছাড়ের জন্য রাশিয়ার থেকে তেল আমদানির দিকে তাকিয়ে ভারতের তেল সংস্থাগুলি। ভারতের সর্ব বৃহৎ শক্তি সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই ৩০ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কিনেছে।