India, China, Russia, ট্রাম্পের চাপ বাড়িয়ে একসাথে এক মঞ্চে ভারত- চীন- রাশিয়া

আমাদের ভারত, ২৬ আগস্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চোখ রাঙানিকে এবার উপেক্ষা করার মতো পদক্ষেপ কি দেখবে বিশ্ববাসী? আন্তর্জাতিক মহলে সেই প্রশ্নই এখন সবচেয়ে বেশি ঘোরাফেরা করছে। কখনো বিভিন্ন দেশের উপর শুল্ক বাড়ানোর হুঁশিয়ারি, তো কখনো রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কেনার বার্তা, এই পরিস্থিতিতে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে একজোট হচ্ছে কুড়িটির বেশি দেশের রাষ্ট্র নেতারা। আগামী সপ্তাহে চিনে সানহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলন রয়েছে। সেই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আসছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তিন রাষ্ট্রনেতাকে একমঞ্চে দেখা যাবে।

তিয়ানজিনে ৩১ আগস্ট ১ সেপ্টেম্বর এসসিও সম্মেলন রয়েছে। মধ্যে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রনেতাদের এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সম্মেলনে যোগ দিতে ৭ বছর পর চিনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

গত বছর অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনে মোদী, পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে একসাথে দেখা গিয়েছিল। গত সপ্তাহে নয়া দিল্লিতে রাশিয়ার দূতাবাসে আধিকারিকরা বলেছিলেন তারা আশা করছেন খুব শীঘ্র ভারত ও চিনের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে।

২০০১ সালে এসসিও প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এবার এস সি ও-র সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি দেশ অংশগ্রহণ করবে। ২০০১ সালে এস সি ও-র ছয়টি সদস্য দেশ ছিল। এখন তার স্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা ১০ এবং ১৬টি দেশ পর্যবেক্ষক হিসেবে এসসিও’তে রয়েছে।

গত সপ্তাহে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা বলেছিলেন, নতুন ধরনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি এই এস সি ও ব্লক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প যেভাবে দাদাগিরি দেখানোর চেষ্টা করছেন তাকে জবাব দিতে এই এসইও সম্মেলনে রাষ্ট্রনেতারা একজোট হয়ে শক্তি প্রদর্শন করতে পারেন। এই সম্মেলনে গিয়ে এবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে মোদী, পুতিন ও সি জিনপিং- এর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *