অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ১৫ আগস্ট:স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘বিপ্লবতীর্থ চট্টগ্রাম স্মৃতি সংস্থা’র তরফে দক্ষিণ কলকাতায় শহিদ সূর্য সেন ভবনে আয়োজিত হলো এক আলোচনা সভা। সেখানে ‘স্বাধীনতা অর্জনের ৭৭ বছর’ নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন তৃণমূল নেতা তথা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দেবাশীষ কুমার।
এই উপলক্ষে কিছুকাল আগে বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিলো। এদিন হল সেটির পুরস্কার ও শংসাপত্র বিতরণ। অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্যোক্তা সংস্থার সভানেত্রী লীলা পুরকায়স্থ তাঁর ভাষণে বলেন, “অনেকের ত্যাগ, রক্ত, তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেরেছি। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম সেই সংগ্রামের ইতিহাস ও ব্যাপ্তির কথা সেভাবে জানেনা। কিছু কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা তাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সংগ্রামীদের সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করি। এখন ওই সংগ্রামের কথা পাঠ্যবইয়ে ততটা থাকে না। পড়ুয়ারাই তো দেশের ভবিষ্যতের নাগরিক। দেশকে সুন্দর করে গঠন করতে গেলে ঐতিহ্যের কথা তাদের জানানো দরকার।”
স্থানীর পুরমাতা মৌসুমী দাস বিশেষ অতিথির ভাষণে বলেন, “১৫ আগস্ট আমাদের কাছে একটা আবেগ। এই দিনের স্মরণে উদ্যোক্তারা পড়ুয়াদের সামিল করে স্বাধীনতা-বিষয়ক যে আয়োজন করেছেন, তাকে স্বাগত জানাই। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিতরাও মূলত পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা। কাজটা সমাজের পক্ষে খুব ভালো।” মঞ্চে তিনি সুচারু পরিবেশন করেন ‘মুক্তির মন্দিরে সোপানতলে’ গানটি।
এবারের আয়োজনে উদ্যোক্তা সংস্থা দুটি স্কুলের মেধাবী ও আর্থিকভাবে অসহায় দুই পড়ুয়াকে এককালীন কিছু অনুদান ও বই উদ্যোক্তারা উপহার দেয়। এ ছাড়া, সপ্তম-অষ্টম শ্রেনীর তিন পড়ুয়া ও নবম ও দশম শ্রেনীর চার পড়ুয়াকে প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতায় ভালো ফল করার পুরস্কার দেওয়া হয়। সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক তপনবিকাশ দত্ত ও অজয় সেন জানান, সপ্তম-অষ্টম শ্রেণি ক্যাটাগোরিতে ১৫টি স্কুলের ৬২ জন এবং নবম ও দশম শ্রেনীর ক্যাটাগোরিতে ১২টি স্কুলের ৬৩ জন অংশ নিয়েছিল। মঞ্চে ছিলেন সংস্থার সহ সভাপতি পরিমল ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, ওপার বাংলা থেকে এপারে আসা এককালের সক্রিয় কিছু বিপ্লবীর উদ্যোগে ১৯৭০ সালে কলকাতায় তৈরি হয় ‘বিপ্লবতীর্থ চট্টগ্রাম স্মৃতি সংস্থা’। ১৯৮৭-তে হয় সংগঠনের নিজস্ব ভবন।