আমাদের ভারত, ২ ডিসেম্বর :
অস্ট্রেলিয়াকে ১৩ রানে হারিয়ে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার থেকে রক্ষা পেল ভারত। ওভালের ক্যানবেরায় ৩০৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে ২৮৯ রানে অস্ট্রেলিয়ার সকলে আউট হয়ে যায়। ম্যাচের সেরা হয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। সিরিজ সেরা অস্ট্রেলিয়ার হয়েছেন স্টিভ স্মিথ।
১৫২ রানে ভারতের ৫ উইকেট পড়ে যায়। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজার দুরন্ত পার্টনারশিপ অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৩০৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দেয়। এখানেই ম্যাচ কিছুটা হলেও কোহলিদের অনুকূলে চলে যায়। এদিন ফের পান্ডিয়া ও জাদেজা জুটি প্রমাণ করে দিল যে কোন দিন তারা ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারে।পান্ডিয়া ৭৬ বলে ৭ টা চার ও একটা ছয়ের সাহায্যে ৯২ রান তোলেন। জাদেজার ৫০ বলে ৬৬ রানে ছিল ৫ টি চার ও ৩ টে ছয়।
প্রথম দুটি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ভারতের সামনে বড়ো রানের স্কোর খাড়া করেছিল। এদিন দলে ডেভিড ওয়ার্নারের না থাকা তারা অনুভব করেছে। তবে বুমরার ইয়োর্কারে যদি ম্যাক্সওয়েল ব্লোল্ড না হত তাহলে ম্যাচের রঙ ঘুরে যেতে পারতো। ম্যাক্সওয়েল ৩৮ বলে দুরন্ত ৫৯ রান করেন। এর মধ্যে ছিল চারটে ছয় ও তিনটে চার। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন অজি অধিনায়ক ফিঞ্চ। তিনি তিনটে ছয় ও সাতটা চারের সাহায্যে ৭৫ রান তোলেন। তবে এদিন স্মিথকে তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরায় শার্দুল ঠাকুর। গত দুটি ম্যাচেই শতরান করে স্মিথ। এদিন বোলিংকে শক্তিশালী করতে বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কোহলি। সাইনির জায়গায় শার্দুল ঠাকুরকে খেলানো হয়। অভিষেক হয় নটরাজনের।অভিষেকেই দুটি উইকেট পায় নটরাজন। শার্দুল পায় তিনটি উইকেট।
পরপর দুটি ম্যাচ হেরে এমনিতেই ওয়ানডে সিরিজে হেরে গেছে ব্রিগেড কোহলি। কিন্তু ৩-০ তে যাতে হোয়াইট ওয়াশ হতে না হয় সেই লক্ষ্যেই নামে কোহলিরা।
এদিন টস জেতার পরে কোহলি দলকে উদবুদ্ধ করতে বলেন খেলোয়াড়দের বডি ল্যাঙ্গুয়েজের আরো উন্নতি করতে হবে। তাদের লক্ষ্যই ছিল এদিন প্রথম ব্যাট করে বেশি রান তুলে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে রাখা।
প্রথম দুটি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ভারতের সামনে রানের পাহাড় খাড়া করেছিল। সিডনির মতো ওভালের ক্যানবেরায় হাই স্কোরিং ম্যাচ হতে পারে বলে প্রথম থেকেই আন্দাজ করেছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। সেই কাজটাই করে দেখিয়েছেন কোহলি৷, জাদেজা, পান্ডিয়ারা। ম্যাচের সেরার পুরস্কার হার্দিক পান্ডিয়াকেই দেওয়া হয়।