আমাদের ভারত, বারাসত, ২৮ আগস্ট: লাগাম নেই মৃত্যুমিছিলে। তবু আইএমএ-র রাজ্য সভাপতি সাংসদ শান্তনু সেনের দাবি, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো। এদিন তিনি আরও দাবি করেন, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার না-হওয়া পর্যন্ত সচেতনতাই বাঁচার একমাত্র পথ।
শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে পুলিশ সুপারের অফিসে স্যানিটাইজার বিলি কর্মসুচিতে যোগ দেন তৃণমুলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। পরে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বাম যুব সংগঠনের স্মারকলিপি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘২০১১ সালের আগে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কী ছিল, তা সকলেই জানেন। আর আজ ভারতবর্ষের একমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ যেখানে চিকিৎসার সব কিছু বিনামুল্যে পাওয়া যায়। বাম যুবকর্মীরা হতাশা থেকে উদভ্রান্তের মতো কথা বলছেন।’
সম্প্রতি বারাসতে ভার্চুয়াল বৈঠকের পর রাজ্যের দুই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাপস রায় করোনার সংক্রমণ লাগাম ছাড়ানোর প্রসঙ্গে আমআদমিকেই দায়ী করেন। দুই মন্ত্রীর সুরে গলা মেলালেন শান্তনুও। এদিন তিনিও বলেন, ‘মানুষ সচেতন না হলে সংক্রমণ রোখা সম্ভব নয়।’ সম্প্রতি বারাসতে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসের পাশে রাস্তায় পিপিই কিট পড়ে ছিল। তা নিয়ে বিতর্কও ছড়ায়। সে ব্যাপারে শান্তনু সরকারি কর্মীদের গাফিলতি আড়াল করে সাধারণ মানুষকেই দায়ী করলেন। তিনি বললেন, ‘কোনও একজন ব্যক্তি সেগুলো ফেলে গিয়েছেন। তাঁর শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’
এদিন স্যানিটাইজার বিলি কর্মসুচিতে শান্তনুর সঙ্গে ছিলেন বারাসতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।

