আশিস মণ্ডল, বীরভূম, ৫ অক্টোবর: এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উত্তেজনা ছড়ালো বীরভূমের সদাইপুর থানার বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশেই এলেমা গ্রামে। পেশায় টোটো চালক মৃত যুবকের নাম নরেশ বাউরি (৩৭)। মঙ্গলবার সকালে তার মৃতদেহ ঘরের কাছে রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সদাইপুর থানার পুলিশ গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিবার এবং গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মৃত যুবকের শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই খুনের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে ঘটনার তদন্তের দাবি জানান পরিবার এবং গ্রামের মানুষ। এই দাবিতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মৃতদেহ ঘিরে রাখেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশি আশ্বাসে মৃতদেহ ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, মৃত নরেশের বিয়ে হয় পাশের বাঁধেরশোল গ্রামে। স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষের মামলা চলছিল। এনিয়ে মাঝেমধ্যেই শ্বশুর বাড়ির লোকের সাথে বচসা লেগেই ছিল। সোমবারও ওই মামলার শুনানি ছিল সিউড়ি আদালতে। গ্রামের বাসিন্দা উত্তম মণ্ডল বলেন, “নরেশ ভালো ছেলে ছিল। টোটো চালিয়ে কোনও রকমে সংসার চালত। আমাদের ধারণা নরেশকে খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সঠিক তদন্তের দাবিতে আমরা পুলিশ কুকুরের দাবি জানাচ্ছি।
দুবরাজপুর পুলিশের সার্কেল ইন্সপেক্টর কিশোর সিনহা চৌধুরী গ্রামবাসীদের জানান, তদন্ত করে আমরা মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করবো। খুন হয়ে থাকলে খুনিকেও খুঁজে বের করা হবে। তাতেও অনড় ছিল গ্রামবাসীরা। পুলিশ কড়া মনোভাব দেখাতেই রণে ভঙ্গ দেয় সবাই।