সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৯ সেপ্টেম্বর: ছেলের দেহ আগলে রেখে অসুস্থ হয়ে পড়লেন মা। সাঁওতালডি থানার শ্যামপুর গ্রামের ঘটনা। প্রতিবেশীরা জানান, এক সপ্তাহের বেশি ছেলের দেহ আগলে রেখেছিলেন তিনি৷ অনেকদিন দেহ বাড়ির মধ্যে থাকায় দুর্গন্ধ বের হতে থাকে৷ তখনই প্রতিবেশীরা জানতে পারেন। তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে৷ পুলিশ বুধবার রাতে বাড়ি থেকে পচাগলা দেহটি উদ্ধার করেছে। অসুস্থ বৃদ্ধাকে পাড়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
সাঁওতালডি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম সঞ্জয় দাস (৩৮)। তাঁর মায়ের নাম টুসু দাস (৭০)। বুধবার রাতে পুলিশ গিয়ে দেখে তাদের দরজা বন্ধ। পাঁচিল টপকে বাড়িতে ঢোকে পুলিশ। একটি রুমে দশ ফুটের মধ্যেই ছেলের পচনশীল দেহের পাশে অচৈতন্য অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন জন্মদাত্রী। দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। টুসু দাসকেও সেখান থেকে অর্ধচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে।
আজ সঞ্জয় দাসের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবক মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। উপার্জন তেমন কিছু করতেন না। অনটন ছিল মা ছেলের সংসারের সঙ্গী। তবে যুবকের মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে বলে পুলিশ জানায়৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।