পুজোর আনন্দের মাঝেই অস্বাভাবিক ভাবে দুটি প্রাণ গেল বাঁকুড়ায়

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৫ অক্টোবর: পুজোর আনন্দের মাঝেই দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে বাঁকুড়া শহরে। বাঁকুড়া পৌরসভার সার্কাস ময়দানের এক ডাক্তারি পড়ুয়া গলার নলি কেটে আত্মহত্যা করেন। অন্যদিকে শহরেরই নুনগোলা রোডের বাড়ি থেকে এক ট্যাক্স কনসালটেন্ট প্রৌঢ়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। ইমনকল্যাণ মন্ডল(২৬) কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে ইন্টার্নশিপ করছিলেন ওখানেই। পুজোয় বাড়ি এসে কেমন যেন ঝিমিয়েছিলেন। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানাগেছে, ইমনকল্যাণ অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পাড়াতেও ভালো ছেলে হিসেবে পরিচয় রয়েছে তার। পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ইমনকল্যাণ বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। বিভিন্ন মন্ডপ ঘুরে বাড়ি ফিরে রাতে তিনি নিজের ঘরে শুয়েছিলেন। তারপর সার্জারি করার ছুরি দিয়ে গলার নলি কেটে আত্মঘাতী হন। তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

অপরদিকে বাঁকুড়া শহরের নুনগোলা রোডে সুচন্দন মন্ডল (৫৪) একটি ভাড়া বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বাস করতেন। তিনি ট্যাক্স কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে প্রৌঢ় ব্যক্তিটি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বুধবার বাড়ির পরিচারিকা এসে ডাকাডাকি করার পরও সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখেন সুচন্দনবাবু খাটের নীচে পড়ে রয়েছেন। এরপর প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নি:সন্তান সুচন্দনবাবুর স্ত্রী কিছুদিন আগে মারা যান। ওই বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *