স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ১৭ জুলাই:
দীর্ঘ লকডাউনে কৃষকদের নিজেদের স্বার্থেই “ফুলের হাট” গড়ে উঠেছিলো, নদীয়ার শান্তিপুরের বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের চরপানপাড়া গ্রামে। এলাকায় অনেকেই গাঁদা ফুলের চাষ করে থাকেন। ট্রেনে করে কালীনারায়ণপুর স্টেশনে গিয়ে বড় হাটে বিক্রি করতেন তারা। কিন্তু গত দেড় বছর আগে লকডাউন হওয়ার পর থেকে নিজেদের স্বার্থে কৃষকরা নিজেরাই গড়ে তুলেছিলেন ফুলের হাট। আশেপাশের সমস্ত চাষিরা গাঁদা ফুল নিয়ে বিকালে হাজির হন গুপিয়া বিলের ধারে। নৌকা পেরিয়ে কালনা ঘাট বর্ধমান এবং শান্তিপুর ফুলিয়ার ফুল ব্যবসায়ীরা সরাসরি চাষির কাছ থেকে ফুল কিনতে চলে আসতেন।
কিন্তু পরিবহন ব্যবস্থার সবচেয়ে কম খরচের ট্রেনের বিকল্প হিসেবে অন্যান্য পেট্রোল ডিজেল চালিত গাড়ির ভাড়া বৃদ্ধি হওয়ার কারণে ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিলো না ইদানিং! আগে যারা আসতেন তাদের অনেকেরই দেখা মিলছে না, ফলে অনেকটাই ক্ষতির মুখে ওই এলাকার ফুলচাষীরা। রাস্তার পাশে যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা গেল গাঁদা ফুল, অনেকে পথের ধারে বসার জায়গা সাজিয়ে রেখেছেন ফেলে না দিয়ে, কেউবা গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে জোগান দিচ্ছেন গাঁদা ফুল।
তবে অপর এক অংশের কৃষকদের মত, কাঁচামালের মতন ফুলের দাম ওঠানামা করে। বর্ষাকালে ফুল দূরের পথে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে গেলে তা পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সেই কারণেই ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহ দেখা যায়। তারা আত্মবিশ্বাসী তবে আষাঢ় শ্রাবণ এই দুই মাস গেলেই, আবার ও ভরে উঠবে ক্রেতায়।