রাজেন রায়, কলকাতা, ৫ ফেব্রুয়ারি: বিধানসভা ভোটের আগে গরু পাচার এবং কয়লা পাচার কান্ডের তদন্ত জোরকদমে শুরু করেছে সিবিআই। মামলার তদন্তে উঠে আসছে রাজ্য প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকের যোগাযোগ থাকার সম্ভাবনা কথাও। এবার ভোটের মুখে ইসিএল-র ৩৩ মামলায় আবার আলাদাভাবে সিট গঠন করল নবান্ন। রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে সেগুলি সঠিক কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্যই সিআইডির নেতৃত্বে এই বিশেষ তদন্তকারী দল বলে নবান্ন সূত্রে খবর। শনিবারই আসানসোল যাচ্ছে রাজ্য পুলিসের উচ্চ পর্যায়ের দল।
বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গরু পাচার এবং কয়লা পাচার হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে ভোটের প্রচারে শাসকদলের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। শুভেন্দু অধিকারী তাঁর প্রত্যেকটি জনসভায় নিশানা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার বারুইপুরের জনসভায় আবার অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নারুলার প্রসঙ্গও টেনে রীতিমতো প্রমাণ দেখিয়ে শুভেন্দু দাবি করেন, গরু এবং কয়লা পাচারকাণ্ডে অনুপ মাঝি ওরফে লালার টাকা ব্যাংককে অভিষেকের স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যায়। এমনকী, অভিষেকের স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কিছু নথিও পেশ করেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যের একযোগে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই, ইডি-র মত কেন্দ্রীয় সংস্থা। বৃহস্পতিবার মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার কয়লা মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, রেলের এলাকার বাইরে গিয়ে তল্লাশি করতে হলে রাজ্য সরকারের অনুমতি দরকার। রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই-কে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত চালাতে হবে। কিন্তু রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত চালাতে রাজি নন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। হাইকোর্টের কপি হাতে পেলেই লিগ্যাল সেলের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তার আগেই পুরো ঘটনা রাজ্য পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করে পালটা চাপ দিতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন, বলে মনে করছে অনেকে।