স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ২৯ জুন: লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে দোকানপাট খুললেও করোনা আবহের কারনে খদ্দেরের অভাবে ব্যাবসা নেই রায়গঞ্জ শহরের কোনও দোকানেই। বিশেষ করে সাজগোজার জিনিস বা মনিহারি দোকানে ব্যাবসা একেবারেই না থাকার কারনে আর্থিক মন্দায় ভুগছেন মনিহারি দোকানদারেরা। তার উপর দোকানে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলায় দোকানের খরচও আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। ফলে এই ব্যবসা করে ব্যাঙ্কের ঋনের টাকা দেবেন না সংসার প্রতিপালন করবেন সেই ভাবনাতেই দিন কাটছে তাদের।
একেতেই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে তিন মাস লকডাউন থাকায় বন্ধ হয়ে পড়েছিল দোকান। লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে দোকান খুললেও সাধারন মানুষ কোনওভাবে নিজেদের নুন্যতম প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, ওষুধপত্র কেনাকাটাটুকুই করতে পারছেন। এই করোনা আবহে সাধারন মানুষের রোজগার বন্ধ বা কমে গিয়েছে অনেকেরই। ন্যূনতম খাদ্যসামগ্রী বা ওষুধপত্র ছাড়া অন্য কোনও কিছু কেনার ক্ষমতা হারিয়েছে সাধারন মানুষ। প্রসাধনী দ্রব্য বা ইমিটেশনের অলঙ্কার কেনার মতো সাধ বা সাধ্য এই আবহে কারনে কারও নেই। ফলে প্রসাধনী সামগ্রী বা মনিহারি দোকান খুললেও সেভাবে তা চলছে না।
রায়গঞ্জ শহরের নিশীথ সরনীর মনিহারি জিনিস বিক্রেতা সুনন্দ শেখর দাস জানালেন, লকডাউনের পরে রীতিমতো স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে প্ল্যাস্টিক দিয়ে ঘিরে দোকান খুললেও করোনার কারনে মানুষ আসছে না। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অনেকটাই কমে যাওয়ায় মিনিহারির পণ্যসামগ্রী বিক্রেতাদের ব্যবসা একেবারেই মার খেয়ে গিয়েছে। আগে যেখানে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা রোজগার হত সেখানে করোনা আবহে সেই আয় দাঁড়িয়েছে মাত্র সাত-আট হাজার টাকা, যা দিয়ে আজ সংসার প্রতিপালন করাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।