আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৩ নভেম্বর: একদিকে নৈহাটি উপ নির্বাচন আর তার মাঝে সাত সকালে জগদ্দল থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে চলল এলোপাথারি গুলি ও বোমা। ঘটনায় নিহত হয়েছেন ভাটপাড়া পৌর সভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট অশোক সাউ। এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছে।
এদিন সকালে বাজার করতে বেরলে হঠাৎ করে তাকে ধাওয়া করে এক দল দুষ্কৃতী। অশোক সাউ প্রাণে বাঁচতে জগদ্দল থানার পার্শ্ববর্তী একটা চায়ের দোকানে ঢুকে যায়। দুষ্কৃতীরা সেই চায়ের দোকানে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় এবং বোমা ছুড়তে থাকে। সেই ঘটনায় গুরুতর জখম হয় জগদ্দল পালঘাট রোডের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা অশোক সাউ।এরপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ব্যারাকপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে জগদ্দল এলাকায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে আসে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার আলোক রাজোরিয়া।
এই প্রসঙ্গে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। পুলিশ টাকা নিয়ে এবং নেতাদের কথা শুনে কেস লঘু করে দেয় বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। যদিও গোটা ঘটনায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের অভিযোগ সম্পূর্ণ
অস্বীকার করেছেন ভাটপাড়া পৌরসভার উপ পৌর প্রধান দেবজ্যোতি ঘোষ।
অপর দিকে পার্থ ভৌমিক বলেন, দুঃখ জনক ঘটনা। অর্জুন সিং যে গুন্ডা রাজ তৈরি করে গেছে তা পরিষ্কার করতে সময় লাগবে। অপর দিকে অর্জুন সিংয়ের দাবি, এই ঘটনার জন্য তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব দায়ী।