পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ অক্টোবর: ঘাটাল মহকুমার প্রাচীন এবং ঐতিহ্যমণ্ডিত লঙ্কাগড় (নাড়াজোল) সর্বজনীন দুর্গোৎসব এবার ৫৬তম বর্ষে পড়ল। বিশিষ্ট সমাজসেবী ও প্রাক্তন বিধায়ক ড: রজনীকান্ত দোলই এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা।
দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক সত্যব্রত দোলই জানান, শাস্ত্রমতে এবছর দেবীর দোলায় আগমন। তাই এবছরের থিম হল- দোলায় চেপে মা দুর্গার মর্তে আগমন। মণ্ডপটি হচ্ছে প্রাচীন মন্দিরের আদলে। হোগলা পাতার ছোট ছোট কারুকার্য আর শিল্পীদের প্রাণের ছোঁয়া অসাধারণ মেলবন্ধন ঘটিয়েছে মণ্ডপ নির্মাণে। থাকছে চন্দননগরের আলোকসজ্জা, সমাজ সচেতনামূলক বারোয়ারি প্রদর্শনী। পুজো মণ্ডপে ডেঙ্গি প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়, প্লাস্টিক দূষণ, শব্দ দূষণ, নির্মল বাংলা, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ ইত্যাদি বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক সামাজিক বার্তার প্রদর্শন থাকবে।
পুজোর দিনগুলিতে প্রতিদিন থাকছে নাটক, লোকনৃত্য, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মহাষ্টমীতে অঞ্জলীর শেষে মণ্ডপে আগত ব্রতীদের প্রসাদ বিতরণ করা হবে। এলাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদেরও সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এছাড়াও থাকছে বিনা ব্যয়ে চক্ষু ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির। পঞ্চমীতে দুর্গোৎসবের উদ্বোধন হবে এবং ঐ দিন প্রকাশিত হবে দুর্গোৎসবের স্মরণিকা ‘আরাধনা’। প্রতি বছর লঙ্কাগড়ের দুর্গোৎসব ঘিরে পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসীদের মধ্যে অভাবনীয় উৎসাহ এবং আনন্দ চোখে পড়ে।