স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১১ নভেম্বর: করোনা আবহে দীর্ঘ সাড়ে ছয় মাস হল রেল পরিষেবা বন্ধ ছিল। একমাত্র রেলের কর্মচারী ছাড়া সাধারণ মানুষের জন্য রেল পরিষেবা বন্ধ ছিল। এর ফলে মানুষের গন্তব্যস্থলে যাতায়াতের প্রচন্ড অসুবিধা হচ্ছিল। রেলের কর্মচারীদের জন্য দেওয়া হয়েছিল স্পেশাল ট্রেন। কিন্তু এতদিন সেই ট্রেনে সাধারণ মানুষ উঠতে পারছিল না। যদিও বা কেউ ঐ ট্রেনে উঠত তাহলে আরপিএফ তাদের হেনস্থা করত বলে অভিযোগ। ফলে বিভিন্ন স্টেশনে সাধারণ যাত্রীরা বিক্ষোভ শুরু করেছিল। কোথাও কোথাও মারধর, রেল অবরোধ, স্টেশন ভাঙচুরের মত ঘটনা ও ঘটে। এরপর দীর্ঘ সাত মাস পর রেলের আধিকারিকদের সামনে রাজ্যের দফায় দফায় বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় রেল পরিষেবা চালু হবে কিন্তু সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই।
দীর্ঘ সাত মাস পর আজ থেকে চালু হলো রেল পরিষেবা।
বেলা যত বেড়েছে টিকিটের জন্য লম্বা লাইন বেড়েছে। নির্দিষ্ট ট্রেন ধরার অপেক্ষায় অনেকেই দাঁড়িয়ে টিকিট পাননি। ভিড়ের জন্য চারটে টিকিট কাউন্টার খুলে কৃষ্ণনগর স্টেশনের টিকিট দেওয়া হয়েছে। বহু মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়েছে টিকিটের জন্য। মাক্স ছাড়া কাউকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। জিআরপি এবং আরপিএফ সর্বত্রই টহল দিচ্ছে। নজর রাখা হচ্ছে সমস্ত রেলের বগিগুলিতে। ইতিমধ্যে ট্রেনের ভেতরে ব্যবস্থা করা হয়েছে ডিসটেন্স দেখে বসার। না মানলে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে রেলের তরফ থেকে।
তবে প্ল্যাটফর্মের উপরে বসে থাকা কোনও হকারকে এদিন দোকান খুলতে দেওয়া হয়নি। প্রায় সাত মাস লকডাউন এরপর ট্রেন চলতে শুরু করায় আশার আলো দেখেছিল হকাররা। কিন্তু আরপিএফ এর তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যরকমভাবে দোকান খোলা যাবে না।