আবারও জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ! আতঙ্কে পাকিস্তান ছাড়ছে হিন্দুরা

আমাদের ভারত,২১ জানুয়ারি: পাকিস্তানে আবারও এক হিন্দু তরুণীকে অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পাকিস্তানে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সিন্ধ প্রদেশে।

বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল ওই হিন্দু তরুণী। পরবর্তীতে একটি ভিডিও সামনে আসে। তাতে ওই তরুণীকে বলতে শোনা যায়, সে স্বেচ্ছায় মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে আলি রাজা নামে এক যুবককে বিয়ে করেছে। একই সঙ্গে তার আশঙ্কা হিন্দু পরিবার এই ঘটনায় অশান্তি করতে পারে। তাই সে স্থানীয় সুক্কুর আদালতে মামলাও করেছে।

কিন্তু তরুনীর পরিবার এই দাবি অস্বীকার করে অভিযোগ করেছে, ওই হিন্দু তরুণীকে অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তরিত করে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভয় দেখিয়ে ওই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। তারা ইমরান সরকারের কাছে নিজেদের নিরাপত্তার দাবি করেছে।

আরক কুমারি নামে ওই হিন্দু তরুণী পাঞ্জাবের সিন্ধ প্রদেশ জাকোবাবাদের বাসিন্দা। গত বুধবার বাড়ি থেকে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপরই একটি ভিডিওতে এক মুসলিম যুবকের পাশে তাকে বসতে থাকতে দেখা যায়। ভিডিওতে সে জানিয়েছে সে স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। তার মুসলিম নাম আলিজা। তার বয়স ১৮ বছর।

কিন্তু আরকার পরিবারের দাবি, সম্পূর্ণ জোর করে মেয়েটিকে দিয়ে এই ভিডিও করানো হয়েছে। মেয়েটিকে অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। মেয়েটির বয়স ১৫ ও সে ক্লাস নাইনের ছাত্রী।

বারবার সংখ্যালঘুদের অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে, এই অভিযোগ করে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পাক সেনাপ্রধানের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরা। অভিযোগকারী ওই হিন্দু পরিবারের কথায়, নানকি কুমারী ওরফে আরক কুমারের বয়স মাত্র ১৫ বছর। তাকে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করার ঘটনায় উদ্বিগ্ন গোটা জাকোবাবাদের মানুষ।

প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সংখ্যালঘু মেয়েকে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করার খবর পাওয়া যাচ্ছে পাকিস্তানে। সেখানে সংখ্যাগুরুরা এভাবেই তাদের কোণঠাসা করতে চাইছে। ফলে সেখানে বসবাস করাই মুশকিল হয়ে উঠেছে তাদের। গত কয়েক দিনে প্রায় ৫০ টি মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি হিন্দু সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধির। আরকার পরিবার জানিয়েছে তারা এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামবেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সম্প্রতি সময়ে পাকিস্তানে বেশ কিছু হিন্দু ও শিখ তরুণীকে অপহরণ ও ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় রাজনীতিকরা এই বিষয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি কোনো। এদিকে দেশের বিজেপি সরকার ও নেতাদের দাবি এই অত্যাচার থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরা ভারতবর্ষে চলে আসছে। আর এই অমুসলিম শরণার্থীদের জন্যই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এনেছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *