আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ২ ফেব্রুয়ারি: হাসপাতাল পরিস্কার করতে গিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ফেলে দেওয়ার প্রতিবাদে হাসপাতালে তালা ঝোলালো গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ, সময়ে ওষুধ মেলে না। অথচ সেই ওষুধ হাসপাতালে মজুত রেখে মেয়েদ উত্তীর্ণ করে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের কুখুড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রোগীদের ওষুধ দেওয়া হত না। সব সময় বলা হত ওষুধ নেই। অথচ সেই ওষুধ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দা ফেন্সি বিবি বলেন, “আমরা যখনই হাসপাতালে আসতাম দেখতাম সবাই মিলে গোল টেবিল করে গল্প করছে। পেশার মাপার কথা বললে দিদিমণিরা বলতেন মেশিন খারাপ। ওষুধ কাউকে দিত না। অথচ দেখছি সেই ওষুধ ফেলে দেওয়া হচ্ছে। আমার স্বামী বলতে গেলে জেলে ভরে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে”।
কানিওর গ্রামের বাসিন্দা দুলাল খাঁ বলেন, “আমরা এখানে কোনো চিকিৎসা পরিষেবা পেতাম না। কাউকে ওষুধ দেওয়া হত না। মাস তিনেক আগেও ক্যানেলের জলে ওষুধ ফেলেছে। কিন্তু তখন প্রমাণ না থাকায় কিছু বলিনি। এবার হাতেনাতে ধরে ফেলেছি। তাই তালা ঝুলিয়েছি”।
মহিলা হেলথ সুপারভাইজার রানু গুপ্তা বলেন, “বুধবার ছিল শিশুদের ভ্যাকসিনের দিন। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মীরা এসে দেখেন গেটে তালা ঝোলানো। খবর পেয়ে আমি এখানে এসে দেখছি তালা ঝোলানো। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললাম। তাদের অভিযোগ, ওষুধ না দিয়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি আমি বিএমওএইচকে জানিয়েছি। জানানো হয়েছে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে। সেই সঙ্গে হাসপাতালের বাইরেই ভ্যাকসিন চালু করতে বলেছি”।
বিএমওএইচ প্রসেঞ্জিত বিশ্বাস বলেন, “ওখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ওই ওষুধ গুলো তিন চার বছর আগে নষ্ট হয়েছে। দিদিমণিরা ঘর পরিস্কার করতে গিয়ে ওই ওষুধগুলো দেখতে পেয়ে ফেলে দেয়”। বিএমওএইচ বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দেওয়ায় গ্রামবাসীরা তালা খুলে দেয়।