আমাদের ভারত, ১৭ মে: আত্মনির্ভর হতে হবে ভারতকে। আর সেই দিকে এগোতে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কুড়ি লাখ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রী। সেই প্যাকেজ ঘোষণার পঞ্চম ধাপে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নির্মলা সীতারামন পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় বড় ঘোষণা করলেন। তাদের হাতে অতিরিক্ত টাকা পৌঁছে দেওয়ার কথা মাথায় রেখেই এই ঘোষণা। ১০০ দিনের কাজে আরও ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে সরকার বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
তৃতীয় দহার লকডাউন শেষ হওয়ার আগেই কেন্দ্র সরকার কৃষি, শিল্প, ব্যবসা ক্ষেত্রে একাধিক সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছিল গরিব মানুষের কি হবে কি হবে? পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে কিভাবে নগদ টাকা আসবে? বিরোধীরা দাবি করেছিলেন সরাসরি শ্রমিকদের আ্যকাউন্টে টাকা দেওয়া হোক। এরই প্রেক্ষিতে বলা যায় আজ আশার কথা শোনা গেল অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায়।
রবিবার সীতারামন ঘোষণা করেন মনরেগা প্রকল্পে অতিরিক্ত ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে। দেশের বিভিন্ন উন্নয়নের কাজে ওই টাকা খরচ করা হবে। এতে গরিব মানুষ কাজ পাবেন। তাদের হাতেও টাকা আসবে। তৈরি হবে ৩০০টি কর্মদিবস।
এম এস এম এর জন্য স্পেশাল ইনশলভেন্সি প্রভিন্সের জন্য অর্ডিন্যান্স জারি করা হতে পারে।
কোম্পানির ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় ডেডলাইন বাড়ানো হয়েছিল। ছোটখাটো ত্রুটিকে ডি ক্রিমিনালাইজড করা হবে। কোম্পানির সমস্যা আদালতের বাইরে আপস-মীমাংসা করার চেষ্টা হবে।
প্রাইভেট সেক্টরকে সরকারি প্রকল্পের গুরুত্ব দেওয়া হবে। ছোট মাঝারি শিল্পের দেউলিয়া ঘোষণা সীমা এক লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক কোটি টাকা করা হলো।
গ্রামীণ এলাকার হাসপাতলে সংক্রমণ রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে। প্রতিটি ব্লকে তৈরি হবে হেল্থ ল্যাবরেটরি।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে ৪হাজার ১১৩ কোটি টাকা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে রাজ্যগুলিকে আরো ১১ হাজার ৯২কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রাজ্যগুলিকে দেওয়া অগ্রিম ৬০% বাড়িয়ে দেবে। ওভারড্রাফটের সীমা দু সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২১ দিন করা হয়েছে। জন ধন যোজনা কুড়ি কোটি মানুষের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার ২২৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

