আমাদের ভারত, ২৩ আগস্ট: সাতদিন ধরে একটা দানাও পেটে পরেনি। খিদের জ্বালায় শেষ পর্যন্ত সহ্য করতে না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছে ৫ বছরের শিশুকন্যা। ঘটনা জানতে পেরে চাল আটা খাদ্য সামগ্রী অনুদান পাঠায় স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। করোনা আবহে এমনি এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা দেশ।
সাতদিন ধরে একটা দানাও পেটের পড়েনি। খিদের জ্বালায় শুধু কেঁদেছে ছোট্ট মেয়েটা। এক সময় খিদের চোটে জ্বর এসেছে তার। সময়মতো চিকিৎসাও হয়নি। ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে সে। উত্তরপ্রদেশের বরেলির নগলা বিধিচাঁদ গ্রামে পাঁচ বছরের একটি মেয়ের না খেতে পেয়ে মৃত্যু হয়েছে খবর জানতে পারার পরেই স্থানীয় প্রশাসন ছুটে এসেছে। সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছানো হয়েছে ৪০ কেজি চাল ৫০ কেজি আটা। এসেছে সরকারি অনুদান। কিন্তু সবটাই পড়ে থাকল। কাজে দিলো না বলে জানিয়েছে ওই সন্তানহারা মা।
দিনমজুরি করে সংসার চালান শিলা। স্বামী টিভি রোগী শয্যাশায়ী। একার হাতে কোন রকমে চলে সংসার। এর আগের নোটবন্দি সময় তার ৮ বছরের ছেলে মারা গেছে। এবার আবার লকডাউন এরপর থেকে কাজ না থাকায় সঙ্গীন হয়েছে পরিস্থিতি। প্রথমদিকে পরিচিত প্রতিবেশীরা সাহায্য করলেও শেষ এক মাস ধরে খাবার জোটেনি ঠিকমত। তারমধ্যে গত সাতদিন ধরে বেঁচে থাকাটাই দায় হয়েছিল তাদের। পাঁচ বছরের সোনিয়া গত কয়েকদিনে কিছু খাইনি। শেষ তিন দিন ধুম জ্বর এসেছিল তার।
যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি মেয়েটির মৃত্যু খিদের জ্বালায় মৃত্যু হয়নি। ডায়রিয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তাদের আরও দাবি প্রশাসনকে কিছু না জানিয়ে মৃত শিশুটিকে কবরস্থ করেছে পরিবার। তাই মৃত্যুর কারণ জানতে প্রয়োজন হলে মৃতদেহ তুলে তদন্ত করা হবে।
জানা গেছে হতদরিদ্র পরিবারটির বিপুল বিদ্যুৎ বিল এসেছিল। বিদ্যুৎ বিল না দিতে পারায় তিনমাস আগে লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। তাদের পরিবারের কোনো রেশন কার্ড নেই। ফলে লকডাউনের সময় চাল ডাল কিছুই তারা রেশন থেকে পায়নি। তবে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে এবার তাদের রেশন কার্ড কবে দেওয়া হবে।

