Simni village, cheetah, কোটশিলার সিমনি গ্রামে চিতা বাঘের দেখা, মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে গ্রামবাসীদের

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৩১ জানুয়ারি: জঙ্গল ছেড়ে গ্রামে ফের দেখা গেছে চিতাবাঘ। স্থান সেই পুরুলিয়ার কোটশিলা থানার সিমনি গ্রাম। এমনই দাবি পুরুলিয়া বন বিভাগের। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় গ্রাম ও সংলগ্ন জনপদগুলিতে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে।

গাভীর রাতে গ্রামেরই এক বাসিন্দা গ্রামের রাস্তায় চিতা বাঘটিকে দেখতে পান। এরপরই গতকাল ঘটনাস্থলে বন দফতরের আধিকারিকরা পৌঁছান। চিতাবাঘের পায়ের ছাপের নমুনা সংগ্রহ করেন। রাতের সময় একলা বাড়ির বাইরে না বেরোনোর জন্য এবং জঙ্গলে একলা না যাওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হয়। জঙ্গল সংলগ্নগ্রামগুলিতে প্রচার পত্র বিলি করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাইকিং করে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দুই মাস আগে গ্রাম ছেড়ে জঙ্গলের ভেতরে চলে যাওয়া গবাদি পশুর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া তার আগে একাধিকবার ঝাড়খণ্ড ঘেঁষা সিমনি জঙ্গলে গবাদি পশুর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয়েছে। ২০২২ সালে বন দফতরে ট্র্যাপ ক্যামেরায় প্রথম চিতাবাঘের ছবি ধরা পড়েছিল। তখনও ওই ঘটনায় আতঙ্ক দানা বেঁধেছিল সিমনি জঙ্গল লাগোয়া গ্রামাঞ্চল গুলিতে। তবে ওই এলাকায় এখনও কোনো মানুষের উপর আক্রমন চালায়নি চিতাবাঘ।
বন দফতর সূত্রে খবর যে, জঙ্গল লাগোয়া ৩টি গ্রাম সিমনী, হারতান সহ আরও ১টি গ্রামে ৩০টি সার্চ লাইট লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে। যাতে রাতের বেলায় চিতাবাঘ গ্রামে এলে গ্রামবাসীদের নজরে পড়ে।

বনদফতর সূত্রের খবর, এই সিমনীর জঙ্গলে সম্ভবত ২টি চিতাবাঘ রয়েছে। প্রথমে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কোটশিলার সিমনি বিটের জঙ্গলে বন দফতরের পক্ষ থেকে লাগানো ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ে একটি পুরুষ চিতাবাঘের ছবি। পরে ওই বছরই জুন মাসে ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ে একটি মাদি চিতাবাঘের ছবি। এরপর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই একই জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ে এক চিতাশাবকের ছবি। বন দফতরের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় সিমনি জঙ্গলে রয়েছে পুরুষ ও মাদি চিতাবাঘ এবং একটি চিতাশাবক। এপরই সিমনি জঙ্গল লাগোয়া গ্রামাঞ্চলে বন দফতরের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়।

পুরুলিয়া বনবিভাগের আধিকারিক কার্তিকেয়ন এম বলেন, “দুদিনের মধ্যে ওই এলাকার বাসিন্দাদের হাতে সার্চ লাইট দেওয়া হবে। এছাড়া নিয়মিতভাবে ওই এলাকায় মাইকে করে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। বিশেষ কাজ ছাড়া যেনো রাত্রের দিকে বন সংলগ্ন এলাকায় কেউ না যান তার জন্য গ্রামবাসীদের বলা হচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *