আমাদের ভারত, ২২ ডিসেম্বর: কলকাতায় আটজনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাস। বৃহস্পতিবার শহরে তিন জন করোনা আক্রান্ত রোগীর কথা জানা গিয়েছিল। শুক্রবার আরও পাঁচ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ওই আটজনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে একটি ছয় মাসের শিশু।
আট জনের মধ্যে একজনই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছয় মাসের শিশুটিকে রাখা হয়েছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়া মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে দু’জন রোগীর দেহে মিলেছে কোভিডের ভাইরাস। তাদের মধ্যে একজন মিলটন রোডের, একজন ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা। এই রোগীদের মধ্যে একজন আবার ম্যালেরিয়াতেও আক্রান্ত বলে জানাগেছে। ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা চলাকালীন তার দেহে করোনার ভাইরাসও পাওয়া গেছে।
আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন একজন। ৫৮ বছর বয়সী ঐ রোগী বেহালার বাসিন্দা। এছাড়া ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে চারজনের দেহে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে। তবে এই চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নয়। তারা বাড়ি থেকেই করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন, পজেটিভ আসে তাদের রিপোর্ট। এদের মধ্যে দু’জন একই পরিবারের সদস্য।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, আক্রান্তদের একজন সম্প্রতি একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে ফেরার পরই তার সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। বিশ্বজুড়ে আবারো চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জে এন ১। সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় প্রথম এই রূপের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকে একাধিক দেশে উঁকি দিয়েছে জে এন ১। চিনে গত কয়েক সপ্তাহে জে এন ১- এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালগুলিতে বেড়েছে ভিড়ও।
ভাইরাসের এই নয়া রূপের সন্ধান মিলেছে ভারতেও। কেরলে প্রথম জে এন ১ আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলে। ওই রাজ্যে এখন একাধিক রোগী আছেন। এই আবহে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যগুলিকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়। করোনা নিয়ে চিন্তায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরও।
কলকাতায় যাদের শরীরে করোনার উপস্থিতি জানা গিয়েছে, তাদের দেহে জে এন ১- এর ভাইরাস আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হবে, তার জন্য জিনোম সিকোয়েন্সের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

