আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৭ ডিসেম্বর: খড়দহ পৌরসভার অন্তর্গত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পিডির মোড় এলাকায় রয়েছে তৃণমূলের একটি কার্যালয়। তৃণমূলের সেই কার্যালয়ে উদ্দাম নাচতে করতে দেখা গেল এক তৃণমূল কর্মীকে, তাও আবার হিন্দি গান বাজিয়ে। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে খড়দহ বিধানসভা অঞ্চলজুড়ে।
খড়দহের রাসখোলা ফেরি ঘাটে কর্মরত আছেন ওই তৃণমূল কর্মী প্রদীপ মাহাতো। যে নাচের ভিডিওটি নিয়ে এত হৈ চৈ পড়ে গেছে সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের পার্টি অফিসের ভেতর হিন্দি গান বাজিয়ে উদ্দাম নৃত্য করছেন এক তৃণমূল কর্মী এবং তার পেছনের দেওয়ালে ঝুলছে মহত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। এই বিষয়ে পার্টি অফিসের নেতা কর্মীরা প্রথমে কিছু বলতে না চাইলেও পরে তারা বলেন, কিছু অশুভ শক্তি তাদের পার্টি অফিসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
অপর দিকে এই ঘটনাকে নিয়ে খড়দহ বিধানসভার উচ্চ নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এদিন এই বিষয়ে স্থানীয় কো অর্ডিনেটর অনিমেষ মুখার্জি বলেন, “আমাদের এই পার্টি অফিস থেকে মানুষের জন্য সেবা মূলক কাজ করা হয়। এখানে কাউকে কোনও নাচ করতে দেখিনি আমরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সরকারি কাজ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে আর আমরা সেই চেষ্টাই করি। আমাদের পার্টির ছেলেরা নিরন্তর মানুষের সেবা করে চলেছে। আমাদের পার্টি অফিসে কোনও খারাপ নোংরা কাজ করা হয় না। কোনও নেশা করা অশ্লীল কাজ সেটাও করা হয় না। অনেক রাত পর্যন্ত এই পার্টি অফিস খোলা ও থাকে না। যদি খোলা থাকে কখনো সেটা কোনও গুরুত্ব পূর্ণ কাজের জন্য খোলা থাকে। আমরা আমাদের এই পার্টি অফিসে কাউকে নাচতে দেখিনি।”
তবে এই ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কে বিজেপির উত্তর কলকাতা শহরতলীর জেলা প্রেসিডেন্টে কিশোর কর জানান, তৃণমূলের দলের উপর কোনও কন্ট্রোল নেই। যার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত তৃণমূলের অনুষ্ঠানে আমরা বারবার দেখেছি অশ্লীল নাচ, অশ্লীল আচরণ করছে তৃণমূল কর্মীরা। আসলে তৃণমূল এই ধরনের অপ সংস্কৃতি রপ্ত করেছে। আর খরদহের এই ঘটনাও আলাদা বা ব্যতিক্রমী না।আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি এর তীব্র নিন্দা করছি, আমরা এই ধরনের অপ সংস্কৃতি বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাচ্ছি।”
তবে এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ওই নৃত্যশিল্পী তৃণমূল কর্মীকে এলাকায় খোঁজ করা হলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।