পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ সেপ্টেম্বর: এই ঘন বর্ষায় রাস্তায় বের হলেই কাদা আর জল। তবে বৃষ্টির জন্য তো আর জনজীবন বন্ধ থাকবে না, এটা তো মোটেই হয় না। কাজের জন্য তো বের হতেই হবে। আর তখনই প্রয়োজন পড়ে বর্ষার অগ্রিম প্রস্তুতির। সবাই বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়। বৃষ্টি শুরু হলেই শুরু হয় ছাতার খোঁজ। বৃষ্টির দিনে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মত প্রয়োজন হয় ছাতা নামের বস্তুটির। রোদ থেকে বাঁচতে অনেকেই ছাতা ব্যবহার করেন, তবে বৃষ্টিতে তো অপরিহার্য হয়ে ওঠে এই ছাতা। সুবিধার জন্য অনেকেই ছাতার পরিবর্তে বর্ষাতি বা রেইনকোট ব্যবহার করেন। হালকা রং ও নানা ফ্যাশনের কম দামের বিভিন্ন ধরনের ছাতা বাজারে এসেছে। যে কারণে মাথায় হাত পড়েছে ছাতা ছাড়াই- এর মিস্ত্রিদের।
বর্ষা এলেই মাথায় আসে ছাতা সারাই- এর মিস্ত্রির কথা। টানা তিন দিন ধরে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ছাতা সারানোর জন্য ছাতা নিয়ে হাজির হচ্ছেন রামজীবনপুরের তারক দাসের কাছে। ভাঙ্গা ও খারাপ ছাতা সারিয়েও দেন তিনি। তিনি জানান, আগের মত আর ছাতা সারাবার চাহিদা নেই। বৃষ্টির সময় এলে ১০-১৫ টা থেকে কুড়িটা ছাতা ছাড়াই এর কাজ জোটে। বাকি সময় আর কাজ পান না তারা। বিভিন্ন জায়গায় হাটে ও বাজারে ছাতা সারাইয়ের কাজ করেন তিনি।