আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ২৪ জানুয়ারি: বাম আমল থেকে আজও রাস্তা সংস্কার হয়নি। প্রতিবাদে দিদির দূত রামপুরহাট বিধানসভার বিধায়ক, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন আদিবাসীরা। যদিও আশিসবাবুর দাবি, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের ভাঁড়কাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাপাসডাঙ্গা গ্রামে যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতের কাছে বিধায়ককে পেয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের আদিবাসীদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, এলাকার দুর্গা মন্দির, মনসা মন্দির সহ বিভিন্ন মন্দিরের পাশ দিয়ে গিয়েছে রাস্তা। রাস্তার ধারে নিকাশীনালা না থাকার জন্য বাড়ির নোংরা জল রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। সারা বছর ওই রাস্তায় জল জমে থাকছে। বর্ষায় আরো ভয়ংকর অবস্থা যা চলাচলের অনুপযুক্ত। অন্যদিকে রাস্তার হাল বেহাল। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের বিষয়টা জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। তাই দিদির দূত কর্মসূচিতে বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে পেয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
বিক্ষোভকারী সুশীল মুর্মু বলেন, “উনাকে আমরা দেখতেই পাই না। এখন দিদির দূত হিসাবে এসেছেন। তাই আমরা সমস্যার কথা জানালাম। উনি আবার আমাদের হুমকি দিলেন। উনি হুমকি দিয়ে মানুষের আন্দোলনকে থামাতে চাইছেন”।
নিকাশিনালা না থাকার কথা মেনে নেন বিধায়ক। তিনি বলেন, “আমি পঞ্চায়েতকে নিকাশি নালা সংস্কারের কথা বলেছি। নিকাশি নালার উপর ঢাকনা দেওয়া যায় কিনা সেটাও দেখতে বলা হয়েছে”। বিক্ষোভের বিষয়ে আশিসবাবু বলেন, “একজন মাত্র বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তিনি এখানকার বাসিন্দাও নন। এখানকার জামাই। উনি আবার কয়লা শিল্প বিরোধী আন্দোলনের নেতা। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ওই ব্যক্তি বিক্ষোভ দেখিয়েছে। আমি এলাকায় নিয়মিত আসি”।