পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২৩ মে: “নাকফুলটা হারায় গেল কলাবনির বনে”…. জঙ্গলমহলের লোকপ্রিয় এই ঝুমুর গানটি বেজে উঠতেই তৃণমূলের মিছিলে উদ্যাম নৃত্যে মেতে উঠলেন মহিলারা। মহিলারা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার দিচ্ছেন, পাঁচশো টাকা থেকে হাজার টাকা করে দিয়েছেন। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ দিচ্ছেন, তাই আমরা আনন্দে নাচ কারছি।”
অপরদিকে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন বীরবাহা সরেন টুডুর দাবি, “মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন, তারা এখন স্বাধীন। তাই তাদের ইচ্ছামত জিনিসপত্র কিনতে পারছেন। কলাবনির বনে হারিয়ে যাওয়া নাকফুলটা দিদি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। সেই আনন্দে তারা আনন্দিত হয়ে নিজের মত আনন্দ করছে”। কেবলমাত্র মহিলারা নয়, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো দু’হাত তুলে নাচ শুরু করে মিছিল চলাকালীন। তাঁর দাবি, “এই এলাকার মানুষজন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের ভুল বুঝে দূরে সরে গিয়েছে। আজ এখানেই মিছিল হচ্ছে, এই মিছিলে যারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে দূরে সরে গিয়েছিল তারাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে মিছিলে যোগদান করেছে। দিদির উন্নয়নের জোয়ার বইছে জঙ্গলমহলে। আমাদের দলের প্রার্থী কালীপদ সরেন বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করতে চলেছে। আমি এই আনন্দে নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলাম না”।
২৫ মে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। আজ ২৩ মে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো। এদিন সকাল থেকেই পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিছিল, পথসভা সংঘটিত হয়। এদিন দুপুরে ঝাড়গ্রাম ব্লকের দুধকুন্ডি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তৃণমূল প্রার্থী কালিপদ সরেনের সমর্থনে মিছিল হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রবিন টুড, ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন বীরবাহা সরেন টুডু, ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অজিত মাহাতো, ঝাড়গ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নরেন মাহাতো, ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মহাশিস মাহাতো, ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত সাহা সহ তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব।
অজিত মাহাতো বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই এলাকায় যে উন্নয়ন করেছে সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এই এলাকার মানুষজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবে। আজকের এই মিছিল থেকেই তা প্রমাণিত হচ্ছে”।