আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ৩০ নভেম্বর:
বৃদ্ধ চিকিৎসক দম্পতির মৃত্যুর পর ৬ দিন তাদের মৃতদেহ আবাসনের ঘরেই আগলে রেখেছিল ওই দম্পতির একমাত্র মেয়ে ও নাতনি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর থানার অন্তর্গত বরানগর পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের টি এন চ্যাটার্জি স্ট্রিট লালবাড়ি বহুতল আবাসনে।
বরানগরের টি এন চ্যাটার্জি স্ট্রিট লালবাড়ি বহুতল আবাসনের দোতালায় ডাক্তার দম্পতি ডা: এ কে চৌধুরী (৮৫) এবং তার স্ত্রী ডাক্তার এস চৌধুরী (৮০) তাদের একমাত্র ডিভোর্সি মেয়ে ও নাতনিকে নিয়ে থাকতেন। বৃদ্ধ ওই দম্পতি দুজনেই পেশায় ডাক্তার ছিলেন। উনাদের এক মেয়ে দেবী ভৌমিক ও নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে মোট চারজন ওই আবাসনে থাকতেন প্রায় কুড়ি বছর ধরে। এই ডাক্তার দম্পতি চলতি মাসের ২৩ তারিখে মারা যান বলে জানা গিয়েছে। তারা দুজনেই বয়স জনিত কারণে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তবে ওই ডাক্তার দম্পতির মৃত্যুর পর সেই মৃত্যুর খবর আবাসনের প্রতিবেশীদের জানাননি মৃত দম্পতির মেয়ে দেবী ভৌমিক। পরে রবিবার রাতে ওই আবাসনের দোতলায় পচা দুর্গন্ধ বেরোলে প্রতিবেশীরা বরানগর থানায় খবর দেয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশ গিয়ে ওই দম্পতির পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার করে। ওই দম্পতির দেহ ময়না তদন্তের জন্য কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনার পর মৃত দম্পতির মেয়ে দেবী ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। বরানগর থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। লাল বাড়ি আবাসনের প্রতিবেশীরা জানান, গত এক সপ্তাহ আগে দম্পতির মৃত্যু হলেও প্রতিবেশীদের কাউকেই বাবা মায়ের মৃত্যুর কথা জানায়নি দেবী ভৌমিক। অবশেষে, রবিবার রাতে বিষয়টি জানা যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বরানগর থানার পুলিশ। মৃত দম্পতির মেয়ে দেবী ভৌমিক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজী হয়নি।