সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৯ মার্চ: মাছির দাপটে নাজেহাল হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী। ইতিমধ্যে পেটের সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে গ্রামের বেশ কিছু শিশু। সেই ভয়ে পরিবার ছেড়েছে অনেকেই। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার সারাহাটি গ্রামে। অভিযোগ, এই এলাকায় এক অসাধু ব্যবসায়ী, সরকারি অনুমতি ছাড়াই জৈব সারের কারখানা করেছেন। সেখান থেকেই মাছির উপদ্রব। প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, আইন না মেনে বাগদার সারাহাটি এলাকায় জৈব সারের কারখানা করেছেন এক অসাধু ব্যবসায়ী। সরকারের কোনো অনুমতি নেয় তাদের কাছে। যার জেরে স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় প্রবল ভাবে বেড়েছে মাছির উপদ্রব। আর সেই মাছির জেরেই নাজেহাল স্থানীয় গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসী অসিমা মণ্ডল, মঞ্জু খাঁ বলেন, রান্নার মাঝে, খাওয়ার পাতে মাছির উপদ্রব। যার জেরে ঠিকমতো খেতে পারছেন না বাসিন্দারা। অধিকাংশ দিন ফেলে দিতে হচ্ছে রান্না করা খাবার। পেটের অসুখে ভুগছেন এলাকার বহু বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বৃদ্ধ থেকে শিশু সকলেই। এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ফলত ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। অনেকেই আবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘর ছেড়েছেন। মাছির হাত থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়দের বাড়ি।

স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এই মাছি সমস্যার সমাধান করতে হবে। জনবসতি এলাকায় এভাবে গোবর, আবর্জনা এনে দুর্গন্ধ ছড়ানো বা মাছির উপদ্রব থেকে মুক্তি চায় তারা।
ওই ব্যবসায়ী এক জন প্রাক্তন সেনাকর্মী বলে জানিয়েছেন। নাম মৃন্ময় বিশ্বাস। তিনি বলেন, রিটার হওয়ার পর গ্রামের কৃষকদের কথা মাথায় রেখে এই জৈব সার তৈরি করছি। মাছি বা গন্ধটা এখানে কারণ না। যে জমিটাতে আমি কাজ করছি, এই জমিটা গ্রামের সকলেই ব্যবহার করতেন, সেটি বন্ধ হওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে গ্রামবাসীরা।

