আমাদের ভারত, ১৯ এপ্রিল : করোনার মত মারণ ভাইরাসের কবলে গোটা পৃথিবী। তবুও বাজারে গিয়ে ভিড়ে ঠেলাঠেলি করে সবজি, মাছ, মাংস কেনার হিড়িক কমেনি লকডাউনেও। সামাজিক দূরত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মানুষ দ্বিতীয় দফার লক ডাউনেও বাজারমুখী। কিন্তু এবার সেই বাজার করোনা সংক্রমনের অন্যতম কারণ যে হয়ে উঠতে পারে তার প্রমাণ পাওয়া গেল আগ্রায়। বাজার থেকেই করোনা ভাইরাস ঢুকে পড়ল ঘরে। আগ্রার এক সব্জী বিক্রেতার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে আগ্রায়।এমনকি গোষ্ঠী সংক্রমণের অশনিসংকেত দেখছে চিকিৎসকরা সেখানে।
জানা গেছে আগ্রার একটি বাজারে এক সব্জি বিক্রেতার শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। আর যার ফলে তার সংস্পর্শে আসাকয়েকশো মানুষকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উত্তর-প্রদেশ সরকার।
আগ্রার ফ্রিগঞ্জের চমনলাল এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। আক্রান্ত ওই সবজি বিক্রেতা আগে অটো চালাতেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে উপার্জন বন্ধ হয়েছে তার। ফলে তিনি সব্জি বিক্রি শুরু করেছিলেন। এরমধ্যে হঠাৎই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার করোনা পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আর এরপরই আশঙ্কিত প্রশাসন খুঁজতে শুরু করে ওই সব্জি বিক্রেতার কাছ থেকে কে কে জিনিস কিনেছেন এবং কারা তার সংস্পর্শে এসেছেন। এমন দুই হাজার মানুষকে ইতিমধ্যেই হোম কোয়ারেন্টিনে করা হয়েছে।
তবে কীভাবে ওই ব্যক্তি করোনায় সংক্রমিত হয়েছে তার এখনো হদিস পাওয়া যায়নি। তবে অটো চালানোর সময় কোন যাত্রীর কাছ থেকে তার শরীরে জীবাণু আসার সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। তবে এই মুহূর্তে সেই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা খুব কঠিন। একই সঙ্গে ওই সবজি বিক্রেতার সংস্পর্শে আসা সবাইকে বেছে বার করা অত্যন্ত কঠিন কাজ।
উত্তরপ্রদেশের আগ্রা এমনিতেই হটস্পট বলে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র সরকার। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৫০। ইতিমধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পর চিকিৎসকরা মনে করছেন গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ সব্জি বিক্রেতার মত একজন আক্রান্ত হওয়ার পরে আগ্রায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।