অমরজিৎ দে ,ঝাড়গ্রাম, ১৮ জুলাই:
সোস্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট। সেই পোস্ট পাঁচশোর বেশী শেয়ার। তাতেই তৈরি হল গ্রিন করিডোর। এই পোস্টের পরেই ঝাড়গ্রাম জেলার শুভানুধ্যায়ীদের যৌথ চেষ্টায় উনিশ দিনের একটি শিশু হাওড়ার হাসপাতালে ভর্তি হল। গ্রিন করিডরের মাধ্যমে রাতেই পৌছল হাসপাতালে।
ঝাড়গ্রামের নিঃস্বার্থ ফাউন্ডেশনের কর্নধার সাগরিকা দাস ছোট্টো শিশুটির শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে নিঃস্বার্থ ফাউন্ডেশনের ফেসবু পেজে শুভানুধ্যায়ীদের এগিয়ে আসার বার্তা দিয়েছিলেন। আর সেই পোস্ট ঝড়ের গতিতে শেয়ার হতে থাকে। বহু মানুষ, বিভিন্ন গ্রুপ এগিয়ে আসে এবং শিশুটির পরিবারের পাশে দাঁড়ায় এবং আর্থিক সাহায্য করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা এলাকার বাসিন্দা পেশায় টোটো চালাক সন্দীপ সেনগুপ্তর সন্তানের ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে জন্মের সাতদিন পরে ধরা পড়ে হার্টের সমস্যা। গত কয়েকদিন ধরে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়া তাকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই সময় সাগরিকা দাস এই ঘটনা জানতে পেরে তাদের বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন ১৬ জুলাই। এরপর সগরিকা দাস নিজে অর্থ সাহায্য করার পাশাপাশি ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেখান থেকে ঝাড়গ্রাম পুলিশ ও কিছু শুভানুধ্যায়ীয়ের সাহায্যে শিশুটিকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার জন্য গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করেন।
এরপর গভীর রাতে ঝাড়গ্রাম হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে হওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। এবিষয়ে সাগরিকা বলেন, “নিঃস্বার্থ ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে শিশুটির শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে পোস্ট করেছিলাম। সেই পোস্ট দেখে বহু মানুষ, সংগঠন এগিয়ে আসেন। পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সাহায্য সহ বিভিন্ন ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে। গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রার্থনা করছি সুস্থ হয়ে শিশুটি ফিরে আসুক।” সবাই আশায় আছেন শিশুটি দ্রত সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে।