আর মাত্র ৭৩ দিনের অপেক্ষা, ভারতের বাজারে আসছে করোনার ভ্যাক্সিন,টিকা দেওয়া হবে বিনামূল্যে

আমাদের ভারত, ২৩ আগস্ট: অপেক্ষা এবার হয়তো শেষের পথে। ভারতের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আর মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে বাজারে চলে আসছে। ৭৩ দিনের মধ্যেই কোভিশিল্ড ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে। তবে এই করোনার ভ্যাকসিন সম্পর্কিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো এটি জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে ভারত সরকার। অর্থাৎ প্রতিটি ভারতীয়কে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাক্সিন দেবে ভারত সরকার।

পুনের বায়োটেক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এই ভ্যাক্সিনটি তৈরি করছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারত সরকার তাদের ইনস্টিটিউটকে বিশেষ লাইসেন্স দিয়েছে। এর ফলে ভ্যাকসিন ট্রায়াল প্রটোকলের প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা যাবে। আশা করা হচ্ছে ৫৮ দিনের মধ্যে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শেষ হবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্বের প্রথম ডোজ শনিবার দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ প্রথম ডোজের থেকে ২৯ দিন পরে দেওয়া যেতে পারে। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের ১৫ দিন পর রিপোর্ট প্রকাশিত হবে।

কোভিশিল্ডের সব পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরে ভ্যাক্সিন বাজারে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনটি ১৭ টি কেন্দ্রে ১৬০০ জনের মধ্যে পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রায় ১০০ জনকে করোনার ভ্যাক্সিনটি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

অ্যাস্ট্রো জেনেকা নামের সংস্থা থেকে এই ভ্যাকসিন তৈরি সত্ত্বা কিনেছে সেরাম। এরফলে সেরাম ভারত সহ ৯২ টি দেশে করোনার টিকা বিক্রি করতে পারবে।

কেন্দ্রের মোদী সরকারের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, সরকার সরাসরি সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন কিনবে এবং প্রত্যেক ভারতীয়কে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে। জানা গেছে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সেরামের থেকে ৬৮ কোটি করোনার ভ্যাকসিন কিনবে। সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে অন্যান্য জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির মতো এটিও সারাদেশে চালানো হবে।

কিন্তু প্রশ্ন দেশের ১৩০ কোটি মানুষের জন্য কিভাবে ৬৮ কোটি ভ্যাক্সিষ পর্যাপ্ত হবে? এ বিষয়ে জানানো হয়েছে, সরকারের আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে ।সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ছাড়াও আইসিএমআর এবং ভারত বায়োটেকের উদ্যোগে তৈরি কোভ্যাকসিন ও জাইকোভি-ডির ওপর নির্ভর করা হবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি সময়মতো পরীক্ষার কাজ শেষ হয় তবে প্রতি মাসের ছয় কোটি করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করবে সেরাম। ২০২১ এর এপ্রিলের মধ্যে তা বাড়িয়ে ১০ কোটি করা হবে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *