আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২৯ ডিসেম্বর: “উন্নয়ন দেখতে হলে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে যান, দেখবেন উন্নয়ন হয়েছে শুধুমাত্র তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে। ওদের নেতারা কেঁদে ভাসিয়ে দিচ্ছে দিদিকে না কি বিজেপি খুন করবে, কিন্তু দিদিকে একটা ঢিলও বিজেপি ছোড়েনি, বরং তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের দলের ১৩৪/৩৫ জনকে হত্যা করেছে।
ভাটপাড়ায় চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একথাই বললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপির সব নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে ৯৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধেও ৪০/৫০ টা হয়ে গেছে। যে থানার রাস্তা দিয়ে যাই, সেই থানা এলাকার পুলিশ আমার বিরুদ্ধে মামলা করে। দেড়, দুই মাস ওদের সরকার আছে দিয়ে নিক কেস। দিদিকে বলব, বিজেপি আপনাকে মারবে না। যে দিদির ভাইরা বিজেপির কর্মীদের হত্যা করেছে, তাদের হাত কাঁপবে না আপনার ক্ষতি করতে। তাই সাবধান হোন আপনার দলের ভাইদের থেকেই, যারা বিজেপি কর্মীদের হত্যা করেছে। আর বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা যা এখন করছে, আমাদের সরকার আসলে সব ক্যানসেল হয়ে যাবে।”
দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ভাটপাড়ায় এদিন চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে অংশ নেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, বিধায়ক পবন সিং, সুনীল সিং, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রবীন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য্য সহ কয়েকশ বিজেপি কর্মী সমর্থক।
এদিনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেন, “ভাইপোর রাজনীতির জ্ঞান নেই। ওর নাক টিপলে দুধ বেরোয়। রাজনীতির র জানে না ভাইপো। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছে। পুলিশ ছাড়া ও একটাও পৌরসভা পঞ্চায়েতের ভোট জিততে পারবে না। ও শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, ও পিসির জন্য সাংসদ হয়েছে তারপর সভাপতি হয়ে গেছে। ও জননেতা শুভেন্দু নিয়ে কথা বলছে। ওর মুখে এসব মানায় না।”
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরো বলেন, আমরা দরজা খুলে রেখেছি। যারা আসতে চায়, চলে আসুন। একটা সময় আমি আর অর্জুন সিং সামনাসামনি লড়েছি। আজকে দেখুন আমি সভাপতি, উনি সহ সভাপতি। একটা সময় সুনীল সিংকে হারাতে আমি এখানে এসেছিলাম। আজকে সুনীল সিং আমার দলে। এটাই হল বিজেপি। ভারতীয় জনতা পার্টির ক্ষমতায় আসা এখন সময়ের অপেক্ষা।”