ক্ষমতা থাকলে ময়দানে এসো, খেলা হবে উন্নয়নের নিরিখে: অভিষেক

আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ১৩ ফেব্রুয়ারি: আরও একবার বিজেপির নেতৃত্বকে চড়া সুরে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানা সংলগ্ন মাঠে জনসভার মঞ্চ থেকে একের পর এক বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বকে বিঁধলেন অভিষেক। এদিনের মঞ্চে অভিষেক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া, রাজ্যসভার সাংসদ তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি শওকত মোল্লা সহ জেলার অন্যান্য বেশ কয়েকজন বিধায়ক ও অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিনও অভিষেক বক্তব্যের শুরু থেকেই বিজেপি নেতৃত্বকে কটাক্ষ করতে থাকেন। তাঁর নাম নিতে বিজেপি নেতৃত্ব ভয় পেলেও তিনি বিজেপি নেতৃত্বের নাম নিতে ভয় পান না বলে দাবি করেন। এদিনও সভা মঞ্চ থেকে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহকে বহিরাগত বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীকে বহিরাগত বলেন। এমনকি দিলিপ ঘোষকে গুন্ডা বলেন। বারে বারে বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন, কিন্তু তিনি এদিন আবারও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ দেখাতে পারলে আমাকে সিবিআই, ইডি দিয়ে ভয় দেখাতে হবে না। আমি প্রকাশ্যে ফাঁসিকাঠে ঝুলে পরবো।” এদিন অভিষেক আরও বলেন, “গত সাত বছরে কেন্দ্র কিছুই উন্নয়ন করেনি। শুধু সারা দেশের মানুষের হয়রানি বাড়িয়েছে। যদি খেলা হয় তাহলে সেই খেলা হোক উন্নয়নের নিরিখে। আমরা দশ বছরে কি কি কাজ করেছি তাঁর রিপোর্ট মানুষের হাতে তুলে দিয়েছি। উন্নয়নের নিরিখে খেলা হবে আর চ্যালেঞ্জ করছি দশ গোলে তৃণমূল বিজেপিকে হারাবে।”

এদিন তৃণমূল থেকে একের পর এক নেতৃত্ব বিজেপি ভাঙিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “তৃণমূল থেকে ভেঙে ভেঙে নেতা নিয়ে যেতে হচ্ছে। তাদেরক চার্টার্ড বিমানে নিয়ে যাচ্ছেন আর পুরনো বিজেপি কর্মীদের টটো জোটে না।” পাশাপাশি বিজেপি মহিলাদের কোনও সম্মান দেয় না বলেও কটাক্ষ করেছেন। আর সেই কারণেই হাতরসের মতো ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, “বিজেপি বলছে রাম বড়, মা দুর্গা কেউ নয়। আসলে ওরা মহিলাদের সম্মান দিতে চায় না। যদি দেয় তাহলে জয় শ্রীরাম না বলে জয় শ্রিয়ারাম বলে দেখাক। অমিত শাহ বলেছেন ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয় শ্রীরাম বলাবেন, আমি বলছি যদি ক্ষমতায় থাকলে ওঁদেরকে জয় শ্রিয়ারাম বলিয়ে ছাড়বো।”

এদিনও অভিষেক আরও বলেন, “এবারের ভোট হবে উন্নয়নের নিরিখে। আমরা জয় শ্রীরাম বলে নয়, আমাদের শক্তি স্বাস্থ্যসাথী খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রীর মতো একের পর এক প্রকল্প, একের পর এক উন্নয়ন।” আয়ুস্মান ভারতের নাম করে মানুষকে প্রতারণা করা হয়েছে। আর আমাদের স্বাস্থ্য সাথী সারা রাজ্যের মানুষ পেয়েছেন। তাই দিলীপ ঘোষের বাড়ির লোকেরাও এই কার্ড করানোর জন্য লাইন দিয়েছেন। বাংলার সংস্কৃতিকে বারে বারে লজ্জায় ফেলছে দিল্লির বহিরাগত বিজেপির নেতারা। তাই এই বাংলার মানুষ তাঁদেরকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *